কর্ণাটকের রাজনৈতিক নাটক থামার নামই নিচ্ছে না। দলীয় হাইকমান্ড এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) এবং ডি কে শিবকুমার দুজনেই প্রবীণ নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবিদার। এদিকে হাইকমান্ডের পক্ষেও যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে উঠছে। সূত্রের খবর, ডি কে শিবকুমার (D K Shivakumar) মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে অনড়।
এদিকে আড়াই বছরের ফর্মুলা নিয়েও দলে আলোচনা চলছে। ডিকে শিবকুমারও এই বিষয়ে শর্ত দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ডি কে শিবকুমার বলেছেন যে এটি একটি সাধারণ চুক্তি হলেও, প্রথম আড়াই বছরের মেয়াদ তাঁকে দেওয়া উচিত এবং দ্বিতীয়টি দেওয়া উচিত সিদ্দারামাইয়াকে। ডি কে শিবকুমার আরও বলেছেন যে তাঁকে প্রথম মেয়াদ দেওয়া উচিত, নয়তো তিনি কিছু চান না।
বল হাইকম্যান্ডের কোর্টে
ডি কে শিবকুমার উপমুখ্যমন্ত্রী পদ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেক্ষেত্রে ফের কংগ্রেস হাইকমান্ড বৈঠক করবে এবং তার পরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
দল 'ওয়ান ম্যান শো' চায় না
এদিকে সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড চাইছে সিদ্দারামাইয়া বা ডি কে শিবকুমার কেউ একা শপথ নেবেন না। এটি একটি যৌথ নেতৃত্ব। এছাড়া ৮-১০ জন মন্ত্রীকে শপথ নিতে হবে। কর্ণাটকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড আর 'ওয়ান ম্যান শো' চায় না। এসব বিষয় নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এখনও আলোচনা চলছে।
দুই নেতাই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন
কর্ণাটকে জয়ের পর দিল্লিতে এসে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া উভয়েই দেখা করেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে।
আরও ২-৩ দিন লাগবে?
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কর্ণাটক ইনচার্জ রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন যে, বর্তমানে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আলোচনা করছেন। কংগ্রেস যখনই সিদ্ধান্ত নেবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্ণাটকে নতুন মন্ত্রিসভা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, বুধবার বিকেলে শোন যাচ্ছিল যে সিদ্দারামাইয়া কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেব শপথ নেবেন। যদিও কিছুক্ষণ পরে, রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েদেন, এটা শুধুই জল্পনা, এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।
আরও পড়ুন - 'অবসাদে ভুগছে', শুভেন্দুকে টার্গেট কুণালের, খাদিকুলে বিক্ষোভের মুখে TMC