Delhi Scooty Number Plate: নম্বর প্লেট (Number Plate) যে এমন ঝক্কিতে ফেলতে পারে তা কে ভেবেছিল। তেমনই হয়েছে দিল্লি (Delhi)-র এক তরুণীর। প্রবল সমস্য়ায় পড়েছেন তিনি। তার জেরে এখন স্কুটিতে চড়াই দায়।
তিনটে অক্ষর
তাঁর একটি স্কুটি রয়েছে। যাতাযাতে আরও সহজ করার বদলে জীবনই এবড়োখেবড়ো করে দিয়েছে যেন। স্কুটির নম্বর প্লেট (Scooty Number Plate) তাঁকে বেজায় সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।
দিল্লির এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। ধরে নিন তাঁর নাম প্রীতি। ধরে নিন, কারণ তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হল। এমনিতেই তিনি নাজেহাল। নাম-পরিচয় প্রকাশ করে আরও সমস্যা বাড়তে পারে।
জন্মদিনের উপহার
তিনি দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। গত মাসে মানে অক্টোবরে তাঁর জন্মদিন ছিল। আর তাঁর বাবা তাঁকে বার্থ ডে গিফ্ট হিসেবে দিয়েছিলেন স্কুটি। মেয়ে যাতে সহজে যাতাযাত করতে পারে।
তবে কে জানতে জীবনে তা এমন সমস্যা ডেকে আনবে! বাবার কাছে মেয়ের আবদার ছিল স্কুটির। তা হলে কলেজে যাতাযাত আরও সুবিধার হবে। বাবা মেয়ের শখ পূরণ করেছেন।
নিজের জমানো টাকা থেকে কিনে দিয়েছেন স্কুটি। দিল্লির এক গাড়ির দোকান থেকে সেটি বুক করেছিলেন। এ পর্যন্ত সবই ঠিক আছে। তবে সমস্যার শুরু হয় তাঁর দু'চাকার নম্বর প্লেট থেকে।
কারণ তাঁর গাড়ির নম্বর প্লেটে লেখা ছিল S.E.X। আরটিও থেকে নম্বর প্লেটে ইংরেজি বর্ণমালার এই অক্ষরগুলি ছিল। আর তার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েন দিল্লির ওই কলেজ পড়ুয়া।
একদম নজর এড়িয়ে গিয়েছে
গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানোর সময় তাঁর ভাইয়ের সামান্য়তম ধারণা ছিল না যে এই তিনটি অক্ষর তাঁর পরিবারের জন্য এত গোলমাল ডেকে আনতে পারে। কারণ গাড়ির নম্বর প্লেট (Scooty Number Plate)-এ লেখা S.E.X দেখে অনেকেই ভুল ভাবতে শুর করেন। রাস্তায় বেরোলেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হত তাঁদের।
ভাই বাড়িতে ফিরে সব কথা বাড়িতে জানান। আর এ কথা শুনে তো ভয়ে সিঁটিয়ে যান প্রীতি। নিজের গাড়ির নম্বর বদলানোর কথা বলেন। এ ব্য়াপারে তিনি দিল্লির আরটিও-র সঙ্গে কথা বলেন।
আরটিও বলছে
সেখানকার এক কর্তা জানান, দশ হাজার গাড়িকে এই সিরিজে নম্বর দেওয়া হয়েছে। লোকের কটাক্ষ থেকে বাঁচতে এখন বাড়ি থেকে বেরোনই দায় হয়েছে তাঁর।
পুলিশ যা জানাচ্ছে
গাড়ির নম্বরের বদল করা সম্ভব? এ ব্য়াাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল দিল্লির কমিশনার অফ ট্রান্সপোর্ট কে কে দাহিয়ার কাছে। তিনি জানান, একবার কোনও গাড়ির নম্বর দিয়ে দেওয়ার পর তা বদলানোর কোনও রাস্তা এখনও কোথাও খোলা নেই। কারণ গোটা প্রক্রিয়া একটা প্য়াটার্ন মেনে চলে।