দিল্লি লালকেল্লায় সদ্য উদ্বোধন হওয়া জয় হিন্দ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড থেকে বাদ পড়েছে জাতীরজনক মহাত্মা গান্ধী ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বেশকিছু রেফারেন্স। অন্যদিকে আরও বেশি করে আলোকপাত করা হয়েছে মারাঠাদের উত্থান এবং নেতাদি সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির ওপরে।
ইন্ডিয়া টুডে টিভির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল থেকে চলা এই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-তে ভোলা ভাই দেশাই এবং জওহরলাল নেহেরুকে আইনজীবী হিসেবে দেখানো হয়েছিল, যাঁরা লালকেল্লায় আইএনএ-র সেনাদের বিচারের সময় তাঁদের রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু নতুন শো-তে সেই অংশটি নেই। নতুন শো-তে শুধুমাত্র অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে গান্ধীজির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘণ্টাব্যাপি ওই শো-তে নৃত্যদল দল মারাঠাদের ওপরে বিশেষভাবে হাইলাইট করা হয়েছে।
এরপর, নেহেরু এবং গান্ধীর রেফারেন্স বাদ দেওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হলে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ASI-এর সূত্র মারফৎ জানা যায় যে, পুরানো শো-টি ছিল ভারতীয় পর্যটন বিকাশ নিগমের মস্তিষ্কপ্রসূত। আর নয়া শো-টি সম্পাদন করেছে ডালমিয়া গোষ্ঠী। ASI সঠিক এবং কালানুক্রমিকভাবে ইতিহাস নিশ্চিত করতে বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছে। এই প্রসঙ্গে এএসআই-এর এক শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, 'শো-টি সময়ের মধ্যে দেখানোর জন্য কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নেহেরুর ভাষণের একটি অংশ এবং গান্ধীজি নতুন শো-তেও রয়েছেন'।
নতুন এই শো-তে সতেরোশো শতাব্দী থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারতের বীরত্বের ইতিহাসকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তাতে ইতিহাসের বেশকিছু পর্বকে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে, মারাঠাদের উত্থান, ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির উত্থান ও তার বিচারপর্ব ইত্যাদি।
আরও পড়ুন - রাজ্যের কোথায় কোথায় বারাণসীর ধাঁচে গঙ্গা আরতি? বাবুঘাটে যা জানালেন মমতা