Advertisement

Earthquake India : ২ মাসে ১৬৬টি ভূমিকম্প! কীসের ইঙ্গিত, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

গত দুই মাসে ভূমিকম্পে দুই থেকে তিনবার কেঁপেছে দেশের উত্তরাঞ্চল। এতে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জম্মু থেকে জয়পুর, ভূমিকম্প হচ্ছে সব জায়গায়। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বছরের শুরু থেকে ১৮ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দেশ ও তার আশপাশের এলাকায় ১৬৬ বার ভূমিকম্প হয়েছে।

ভূমিকম্প (ফাইল ছবি)
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 19 Feb 2022,
  • अपडेटेड 7:19 PM IST
  • গত ২ মাসে ভারত ও তার আশপাশের দেশগুলিতে বারবার ভূমিকম্প হয়েছে
  • এর কারণ কী? কীভাবে এর থেকে সতর্ক থাকা যায়?
  • এই ভূমিকম্প আসলে কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে ?

গত দুই মাসে ভূমিকম্পে দুই থেকে তিনবার কেঁপেছে দেশের উত্তরাঞ্চল। এতে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জম্মু থেকে জয়পুর, ভূমিকম্প হচ্ছে সব জায়গায়। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বছরের শুরু থেকে ১৮ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দেশ ও তার আশপাশের এলাকায় ১৬৬টি ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ২ থেকে ৬ ছিল। এর মধ্যে ৫ থেকে ৬ তীব্রতার মধ্যে ৭টি ভূমিকম্প রয়েছে বলে সূত্রের খবর।  

উল্লেখ্য রিখটার স্কেলে ৫ থেকে ৭ তীব্রতার যে ভূমিকম্পগুলি হয়েছে, সেগুলি ভারতে হয়নি। বরং তার আশপাশের দেশ যেমন, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান ও মায়ানমারে হয়েছে। যেহেতু টেকটোনিক প্লেটগুলো একইরকম তাই তার তরঙ্গ ভারতেও অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুসারে, ১ জানুয়ারি, ২০২২থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ১৬৬টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টিরও বেশি ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ২ থেকে ৩ মাত্রার।

ভূমিকম্প

আরও পড়ুন : UGC NET-এর ফলাফল প্রকাশিত, এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন

এনসিএস-এর মতে, ৩ থেকে ৪ মাত্রার তীব্রতার মধ্যে ৭৯টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। জানা গেছে এরপর ৪ থেকে ৫ তীব্রতার প্রায় ৫৪টি ভূমিকম্প হয়েছে। ১৯ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯.০১ মিনিটে, তাজিকিস্তানের দুশানবে থেকে ১৩০কিলোমিটার পূর্বে ৫.১মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। অর্থাৎ ৫ থেকে ৬ তীব্রতার ভূমিকম্পের সংখ্যা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে 8টিতে। তবে ৬-এর উপরে একটিও ভূমিকম্প হয়নি।

IIT Roorkee-এর Earthquake Early Warning System For Uttarakhand-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর কমল ভূকম্পের সম্পর্কে আজতক.ইনকে কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনও বড় ভূমিকম্পের আগমনের আশঙ্কা নেই। ভয়ের কোনও কারণও নেই। ছোটো ভূমিকম্পগুলি থেকে বড় কোনও সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়। 

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিতে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা স্থাপন করা জরুরি। যাতে মানুষ ভূমিকম্পের ১-২ মিনিট আগে তথ্য পেতে পারে। তারা সমস্ত কর্ম-ধাম ছেড়ে নিরাপদস্থানে ছুটতে পারে। যারা ভূমিকম্পের পঞ্চম ও চতুর্থ জোনে আছেন, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা ভূমিকম্প প্রতিরোধ করতে পারি না। সেজন্য আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।

ভূমিকম্প (ফাইল ছবি)

আরও পড়ুন : Transformation Journey : মাত্র কয়েক মাসে ৩৪ কেজি ওজন কমালেন যুবতী, কীভাবে ?

কামাল জানান, বৃষ্টির একদিন আগেই জানা যায় বৃষ্টি হবে। সেইরকম ভূমিকম্পের আগেও যেন সাধারণ মানুষ জানতে পারে এই বিষয়ে। কারণ এখানে প্রাথমিক সতর্কতা নিলে মানুষের জীবন বাঁচবে। অর্থাৎ ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট আগে তার তথ্য পেলে  নিরাপদস্থানে গিয়ে অনেক প্রাণহানি কমবে। 

যেমন হিন্দুকুশে ভূমিকম্প হলে পাঁচ মিনিট পর আমরা জানতে পারি ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প হবে এমন সংকেত পেলে মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারবে। তাই এটাকে প্রারম্ভিক সতর্কতা বলা হয়। এর মাধ্যমে আমরা মানুষকে বাঁচাতে পারি। আমরা উত্তরাখণ্ডে এই ধরনের প্রথম ব্যবস্থা চালু করেছি। সরকার এই ধরনের সিস্টেম স্থাপনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কামাল জানান, IIT Roorkee প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থার জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। এর নাম উত্তরাখণ্ড ভূমিকম্প সতর্কতা। এই অ্যাপের মাধ্যমে,  প্রতি মাসের একটি তারিখে একটি অ্যালার্ম দ্বারা সতর্ক করা যায়। যা সত্যিকারের ভূমিকম্প হলে বেজে উঠবে। অর্থাৎ অ্যালার্ম বেজে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারবেন। এছাড়া আগাম সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিও আসবে। কারণ উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হলে দিল্লি-এনসিআরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই তাদের জন্য এই অ্যাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোকেরা Android বা iOS থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন।

ভূমিকম্প (ফাইল ছবি)

আরও পড়ুন : Weight Gain Foods: রোগা-পাতলা চেহারা! ওজন বাড়ানোর জন্য খান এইগুলি

বলা বাহুল্য, গত বছর লোকসভায় জিজ্ঞাসা করা এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, ভারতের ৫৯ টি অংশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রয়েছে। পাঁচটি জোন রয়েছে। পঞ্চম অঞ্চলটি সবচেয়ে কম বিপজ্জনক এবং সক্রিয়। এই অঞ্চলটি দেশের ১১শতাংশ কভার করে। চতুর্থ জোনে ১৮ শতাংশ এবং তৃতীয় ও দ্বিতীয় জোনে ৩০ শতাংশ। জোন ৪ এবং ৫এর অঞ্চলগুলি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন অঞ্চলগুলি এর আওতায় রয়েছে?

পঞ্চম অঞ্চলে, জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ, হিমাচল প্রদেশের পশ্চিম অংশ, উত্তরাখণ্ডের পূর্ব অংশ, কচ্ছের রণ, উত্তর বিহারের অংশ, সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং আন্দামান ও নিকোবর। চতুর্থ অঞ্চলে, জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ, বাকি লাদাখ, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশ, হরিয়ানা-পাঞ্জাব-দিল্লি-সিকিমের কিছু অংশ, উত্তর উত্তর প্রদেশ, বিহারের একটি ছোট অংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমাঞ্চল। রাজস্থানেরও  কিছু অংশ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement