বৃহস্পতিবার সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনগুলি। আর সেই দিন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নতুন কৃষি আইন নিয়ে দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে তোলপাড়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা একজোট হয়ে 'দিল্লি চলো' অভিযানের শুরু করেছেন। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে তুলকালাম পরিস্থিতি রাজধানীতে। নতুন করে শুরু হওয়া এই কৃষক বিক্ষোভে রীতিমত অস্বস্তিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর কোনওভাবেই এই সুযোগ ছাড়তে রাজি নন রাহুল গান্ধী। মোদী সরকারকে এক হাত নিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের ট্যুইট করলেন রাহুল।
রহুলের মত প্রিয়াঙ্কাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি লেখেন, বিজেপি সরকার দেশের কী অবস্থা করেছে দেখুন। বিজেপিরবন্ধুরা যখন দিল্লি আসে, তাদের জন্য লাল গালিচা দেওয়া হয়। আর কৃষকরা দিল্লিতে আসলে তাঁদের রাস্তা আটকানো হয়। তিনি দিল্লিতে বসে কৃষকদের বিরুদ্ধে আইন করেন সেটা ঠিক, আর কৃষকরা যদি সরকারকে নিজেদের অভিযোগ জানাতে দিল্লিতে আসে, তা কি ভুল?
এদিকে দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ নামার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি নীতির প্রতিবাদে বিরাট কৃষক বিক্ষোভ ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজধানী। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হাজার হাজার কৃষক শুক্রবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে হাজির হন। হরিয়ানা, পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাজধানী অভিমুখে আসা কৃষকদের আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে উত্তর দিল্লির বুরারিতে আন্দোলনকারী জনতার বিরুদ্ধে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে। পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে তিনদিনের লড়াইয়ের পরে অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় বসতে রাজি হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। বৈঠকের পর বুরারি এলাকায় নিরঙ্করী সমাগম মাঠে প্রতিবাদ–অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হয় কৃষকদের। শনিবার সকাল থেকেই পঞ্জাব ছাড়াও রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা সেখানে দলে দলে যোগ দিতে থাকেন।
এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই মোদী সরকারকে শুক্রবারও খোঁচা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী বলেন, এই ধরণের বিক্ষোভ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সবে শুরু হল। এরকম আরও দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে দেশ।পূর্বেও কৃষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাগুল লিখেছিলেন, ‘আপনি শুধু কৃষকদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে পারেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে কিছুই করতে পারেন না’।