Advertisement

Cyclone Asani Update : তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে অশনি, মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা?

প্রদীপ কুমার জানা জানাচ্ছেন, সিস্টেমটি ১১ মে গঞ্জাম এবং পুরীর মধ্যে উপকূলের সবচেয়ে কাছাকাছি জায়গায় থাকবে। যেহেতু এটি বাঁক নেবে এবং পুরী থেকে ওডিশা উপকূলের সমান্তরালভাবে অগ্রসর হবে তাই সেটি ১২ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ১১ মে উপকূলীয় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা, কটক এবং জগৎসিংহপুর জেলায় আগামী ১০ থেকে ১২ মে-এর মধ্যে বৃষ্টিপাত হবে বলেও মনে করছে আবহাওয়া দফতর। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • ভুবনেশ্বর,
  • 08 May 2022,
  • अपडेटेड 11:05 PM IST
  • ৬ ঘণ্টায় তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে অশনি
  • মোকাবিলায় তৎপর ওড়িশা প্রশাসন
  • ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলার সরকারও

তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অশনি (Cyclone Asani Update)। আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে অশনি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগের একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে মনে করছে ভরতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD)। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনি দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত ৬ ঘণ্টায় এটি প্রায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। 

এই বিষয়ে ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার প্রদীপ কুমার জানা জানাচ্ছেন, সিস্টেমটি ১১ মে গঞ্জাম এবং পুরীর মধ্যে উপকূলের সবচেয়ে কাছাকাছি জায়গায় থাকবে। যেহেতু এটি বাঁক নেবে এবং পুরী থেকে ওডিশা উপকূলের সমান্তরালভাবে অগ্রসর হবে তাই সেটি ১২ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ১১ মে উপকূলীয় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা, কটক এবং জগৎসিংহপুর জেলায় আগামী ১০ থেকে ১২ মে-এর মধ্যে বৃষ্টিপাত হবে বলেও মনে করছে আবহাওয়া দফতর। 

প্রদীপ কুমার জানা সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, পুরী, সাতপাডা, অস্তারাঙ্গা, কৃষ্ণপ্রসাদ, জগৎসিংপুর, ভদ্রক, মহাকালপাড়া, রাজনগর এবং গঞ্জামে ওডিআরএএফ দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এনডিআরএফ-এর একটি গোটা ইউনিট বালাসোরে রয়েছে, প্রয়োজনে সেটি পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও কাজ করতে পারবে। দমকলের ডিজি সমস্ত জেলাকে সতর্ক থাকতে এবং যে কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইভাবে হেডকোয়ার্টারেও ১০ থেকে ১৫টি ফায়ার ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। 

এছাড়া সমস্ত জেলার কালেক্টর এবং মিউনিসিপ্যাল ​​কমিশনারদের প্রয়োজন অনুসারে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষত নিচু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ক্ষেত্রে তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছেন সমস্ত মৎস্যজীবীরা সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়া পর্যন্ত চিলকায় নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। 

Advertisement
IMD-র বিজ্ঞপ্তি

বাংলায় কী কী ব্যবস্থা?
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় বাংলাতেও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে কলকাতা পুরসভা। কন্ট্রোল রুমকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলাসফর পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুনঅশনি'-র জেরে পিছল CM-এর জেলাসফর, যাবেন কবে?

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement