Uttar Pradesh Lakhimpur Kheri Incident Lakhimpur Kheri Incident : অবশেষে সুর নরম করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দিল যোগী সরকার। সেই রাজ্যের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা লখিমপুরে যেতে পারেন। তবে একটি দলের ৫ জনের বেশি প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধিও লখিমপুরে যেতে পারবেন। যোগী সরকারের এই অনুমতির ফলে আম আদমি পার্টির নেতাদেরও লখিমপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাঁধা রইল না।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে সোমনাথের মূর্তি ধ্বংস করল তালিবানিরা
জানা গিয়েছে, লখিমপুরে দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যাবেন রাহুল গান্ধি। সেখানে তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে ওই এলাকায় তাঁদের কোনও সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এতদিন ওখানে রাজনৈতিক নেতাদের যাওয়া আসায় প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে এখন তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বিমানে লখনউ যাবেন রাহুল গান্ধি। সেখান থেকেই লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। তবে তার আগে সীতাপুরে যাবেন তিনি। সেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে গেস্ট হাউসে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে।
গত রবিবার লখিমপুরে ৪ কৃষক-সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কৃষক সংগঠন ছাড়া অন্য কোনও দলকে লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অখিলেশ যাদব, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, সঞ্জয় সিংদের মতো নেতারা লখিমপুরে যেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে গ্রেফতারও করা হয়।
আরও পড়ুন : উৎসবে অন্ধকারে ডুবে থাকবে দেশ? কেন
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেছিলেন, পরিকল্পিতভাবে কৃষকদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। ভারতে একনায়কতন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রবিবারের ঘটনার পর থেকেই লখিমপুরে ১৪৪ ধারা জারি হয়। বিরোধী পক্ষের কোনও নেতাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি৷ যদিও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরাও দু'টি দলে ভাগ হয়ে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন৷