দিল্লির আফগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর আবেদন খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্ট জানাল, এটি রাজনৈতিক বিষয়। আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার শুনানিতে হাইকোর্ট বলে, এই আবেদনের আইনগত সমীক্ষা আদালত করতে পারবে না। আদালতের প্রশ্ন, কেজরিওয়াল ইডি-র হেফাজতে থাকায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ থাকতে পারবে না, এরকম কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা আছে কি? আবেদনকারী তখন সওয়াল করেন, এই বিষয়টিতে রাষ্ট্রপতি বা উপরাজ্যপালের হস্তক্ষেপ জরুরি।
এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়
তখন হাইকোর্ট বলে, এ সবই নির্বাহী বিভাগের বিষয়। বিচার বিভাগের আওতাভুক্ত নয়। আমরা এর বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা করতে পারি না, তাদের করতে দিন। এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন প্রশ্ন করেন, এক্ষেত্রে আইনি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে কি না। এ বিষয়ে নজর রাখছেন এলজি সাক্সেনা। বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এলজিকে এটি বিবেচনা করতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে বিবেচনা করতে হবে।
দিল্লির কৃষক ও সমাজকর্মী সুরজিৎ সিং যাদব কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যাদব তাঁর আবেদনে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে এবং তাঁকে এই পদে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।
কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছিলেন এলজি ভি কে সাক্সেনা
আফগারি কেলেঙ্কারিতে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পর জেল থেকে সরকার চালানো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা বুধবার বলেছিলেন, কেজরিওয়াল জেল থেকে সরকার চালাতে পারবেন না। একটি নিউজ চ্যানেলের অনুষ্ঠানে সাক্সেনা বলেছিলেন, আমি দিল্লির জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার জেল থেকে চালানো হবে না। এলজি সাক্সেনার এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ইডি হেফাজত থেকে অনেকগুলি সরকারি আদেশ জারি করেছেন।
মদ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হলেন কেজরিওয়াল
প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ইডি গ্রেপ্তার করেছিল। দিল্লি মদ কেলেঙ্কারিতে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছিল। গ্রেফতারের পরও অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেননি। আম আদমি পার্টির নেতারা দাবি করেন, তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাবেন।