মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটের আগে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল। মঙ্গলবার শিলংয়ে ইস্তাহার প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয় বরং তাঁর দলের অঙ্গীকার বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত সপ্তাহে মেঘালয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মতোই সামাজিক প্রকল্প আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তৃণমূলের ইস্তাহারেও সেই ছাপ। একাধিক সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন অভিষেক।
ইস্তাহার প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন,'মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রত্যেক মহিলা বছরে পাবেন ১২ হাজার টাকা।' একুশের ভোটের আগে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্পের ধাঁচেই গোয়ায় বাড়ির গৃহকর্ত্রীদের মাসে মাসে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। এবার গোয়াতেও একই কথা থাকল তৃণমূলের ইস্তাহারে।
সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের এক লক্ষ ল্যাপটপ দেওয়ার কথা জানান অভিষেক। তাঁর কথায়,'ওরা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা খালি মুখেই বলে। আমরাই আসল কাজ করছি।'মেঘালয়ে বছরে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের ইস্তাহার নিয়ে তিনি জানান,'ইস্তাহারে ১০টি বিষয় কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, এটা আমাদের অঙ্গীকার। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সব অঙ্গীকারই আমরা পূরণ করব। বাংলাতেও যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সরকার গঠনের পরই সব কটা বাস্তবায়িত করেছি।'
মেঘালয়ে তৃণমূলের বিরোধীরা মমতা ও অভিষেককে বহিরাগত বলে আক্রমণ করছেন। সে নিয়ে অভিষেক বলেন,আমাদের বহিরাগত বলছে ওরা, অথচ আমরাই রাজ্যের জন্য অঙ্গীকার করছি। আপনাদের কী মনে হয়, মুকুল সাংমা বা চার্লস পিনগ্রোপ বহিরাগত! আমি বিজেপির কাছে জানতে চাই, তাদের কি সৎ সাহস আছে? তাঁদের কোনও জাতীয় নেতা এসে মেঘালয়ে বলতে পারবেন যে, দিল্লি বা গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় শাসন করা হবে না। গারো এবং খাসির মানুষই এই রাজ্য পরিচালনা করবেন! বলতে পারবে না। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সরকার চালাবে এখানকার মানুষ। এখানে উন্নয়ন হয়নি। কর্মী-সমর্থকদের অভিজ্ঞতা ভিত্তিতেই আমরা ১০ অঙ্গীকার করেছি।'
আরও পড়ুন- ছেলেবেলায় ফিরলেন 'স্বয়ংসেবক' শুভেন্দু, বহুরূপী কটাক্ষ কুণালের