National Medical Commission on Khadi and Village Industries Commission or KVIC: চরক সংহিতার পর এবার খাদি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের এক নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। সেখানে চিকিৎসকদের খাদির পোশাক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে বেশ কয়েকটি চিকিৎসক সংগঠন। তাদের কটাক্ষ, পঠনপাঠন ছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়ে বেশি ব্যস্ত।
কমিশন যা বলেছে
ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) কেন্দ্রীয় এমএসএমই-র অন্তর্ভুক্ত এক সংস্থান। যারা খাদি এবং খাদির পণ্য বা অন্যান্য হস্তশিল্প বিক্রি এবং বিপণনের সঙ্গে যুক্ত। এর পাশাপাশি খাদি এবং ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আর্থিকভাবেও সাহায্য করে তারা।
আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্ক: আগে নিজের ঘর সামলান,পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের
আরও পড়ুন: ডেলিভারি বয়-গিগ ওয়ার্কারদের নিয়ে নয়া সংগঠন তৈরির পথে সিটু
আরও পড়ুন: Airtel-এর ধামাকা, ১৪৯ টাকায় Xstream Premium-এ ১৫ OTT-র সাবস্ক্রিপশন
তারা আরও জানাচ্ছে, কেভিআইসি ডাক্তারি পেশার সঙ্গে মানুষদের জন্য বিশেষ কিছু পণ্য ডিজাইন এবং উৎপাদন করে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বিছানার চাজর বা বেডশিট, তেমনই বালিশের ওয়াড়, অ্যাপ্রন, পর্দা, রোগীর গাউন, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি। এটা প্রমাণিত যে খাদির পণ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তা নয়, এটা পরিবেশবান্ধবও।
চিকিৎসকরা তাদের ডিউটি অবধি আওয়ারে সাদা কোট পরে থাকতে হয়। তাই, তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে খাদির পোশাক পরার জন্য। এর পাশাপাশি সব মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে, আরও বেশি করে খাদির পণ্য ব্যবহার করার এবং সে ব্য়াপারে উৎসহা দেওয়ার। যাতে গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান এবং তাদের আরও সাহায্য হয়।
চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য
এ ব্যাপারে অ্য়াসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের মানস গুমটা জানান, খাদি ব্যবহারের জন্যে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাধারণ ভাবে বিরোধ থাকার কথা নয়। তবে এই উপদেশ শুধু সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের জন্যে হলে প্রশ্ন উঠবেই। মডার্ন মেডিসিনে চরক শপথ, যোগা, সূর্য্য প্রণাম নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক চলছে।
তাঁর প্রশ্ন, মডার্ন মেডিসিনকে গৈরিক পথে নিয়ে যাওয়ার আরও একটি সুপরিকল্পিত কৌশল নয়তো? না হলে রেল থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যে এই রকম উপদেশ নেই কেন? ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন দেখছি পঠনপাঠন ছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়ে বেশি ব্যস্ত। তাঁর অভিযোগ, সারা দেশে ডাক্তারি সিট নিলাম হচ্ছে। কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আগে বন্ধ করুক।
এই বিষয়ে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সম্পাদক ডা: অংশুমান মিত্র বলেন, "এইভাবে নির্দেশিকা দিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্ডা- উগ্র জাতীয়তাবাদের সেন্টিমেন্ট আর 'মেক ইন ইন্ডিয়া'কে প্রমোট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।"
তিনি যোগ করেন, "খদ্দর নিয়ে আমাদের বিরোধ নেই। কিন্তু যেভাবে কে কী পরবে, কোন হাসপাতাল কী প্রোডাক্ট ব্যবহার করবে, সেটা এইভাবে সরকারিভাবে নিদান দেওয়া যায় কি! আমরা এইধরনের নির্দেশিকার বিরোধিতা করছি।"