ক্রমেই ছড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন প্রজাতি। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৪০০-র বেশি আক্রান্ত। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃতীয় ঢেউ কতটা ঘাতক হতে পারে? সব সংক্রামিত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংও কি সম্ভব? এসব প্রশ্ন নিয়েই আজতক গিয়েছিল চিকিৎসক নরেশ ত্রেহানের কাছে।
R-Naught ফ্যাক্টর কী?
ভাইরাস আক্রান্ত ব্য়ক্তি কতজনকে সংক্রামিত করতে পারে, সেটাই হল আর-নট ফ্যাক্টর। নরেশ ত্রেহান জানান, করোনার প্রথম প্রজাতি আলফার আর-নট ফ্য়াক্টর ছিল ২.৫। অর্থাৎ আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে ২-৩ জন ব্যক্তি সংক্রামিত হতে পারতেন। তার পর এল ডেল্টা প্রজাতি। তখন একটা সময়ে দিনে চার লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেল্টার আর-নট ফ্যাক্টর ৬.৫। অর্থাৎ আক্রান্তের কাছ থেকে ৬-৭ জনকে সংক্রামিত হতে পারেন। কিন্তু ওমিক্রনের আর-নট ফ্যাক্টর আগের প্রজাতির থেকে তিনগুণ বেশি। সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ২০ জন আক্রান্ত হতে পারেন। সেজন্য ওমিক্রনকে সুপারস্প্রেডার বলা হচ্ছে।
ফলে ওমিক্রনে অনেক বেশি লোক সংক্রামিত হতে পারেন। তবে সংক্রমণ ছড়ালেও ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটাই কম। শরীরে ক্ষয়ক্ষতিও কম করে। তার কারণ- প্রথমত বেশিরভাগ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আর দ্বিতীয়ত,অনেকের শরীরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, করোনার প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়ে গিয়েছে মানবশরীর।
টিকাকরণ হলেও সংক্রমণ
নরেশ ত্রেহান জানান,দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। এটাই উদ্বেগে ফেলছে। তিন দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আরও একটা তথ্য় আশঙ্কিত করছে, টিকা নেওয়া আছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা ব্যক্তিদেরও সংক্রামিত করছে ওমিক্রন।
আরও পড়ুন- তৃণমূলকে 'সাম্প্রদায়িক' দেগে দল ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন MLA
সামনে দু'টি চ্যালেঞ্জ
দুটি কারণে চিন্তা বাড়ছে বলে জানান নরেশ ত্রেহান। প্রথমত শিশুদের এখনও টিকাকরণ দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হয়নি।
বুস্টার ডোজ জরুরি
ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ আবশ্যিক বলে মনে করেন চিকিৎসক নরেশ ত্রেহান। তাঁর অভিমত, প্রথমসারির কোভিডযোদ্ধাদের বুস্টার টিকা দেওয়া দরকার। এখনই বুস্টার ডোজ শুরু করে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন ৪০০ পার, বাংলা-সহ ১০ রাজ্যে যাবে কেন্দ্রীয় দল