মাস পয়লার ভোরেই চমক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে একটি ট্যুইট করলেন মোদী। যাতে দেখা গেল করোনা টিকা নিচ্ছেন তিনি। এদিন ভোরে এইমসে গিয়ে টিকা নেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ছবিও ট্যুইট করেন মোদী। ভারত বায়োটেক তৈরি কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে মোদীকে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৬ টা ২৫ মিনিটে দিল্লির এইমসে মোদীকে ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা দেন নার্স পি নিভেদা। যিনি আদতে পুদুচেরির বাসিন্দা। দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হলেই টিকা নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই টিকা নিলেন মোদী।
মার্চের পয়লা তারিখ নিজের করা ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন চলুন সকলে মিলে দেশকে কোভিড ১৯ মুক্ত করি। ট্যুইটে মোদী লেখেন, "আমি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলাম AIIMS থেকে। কোভিড ১৯ বিরুদ্ধে যেভাবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা সকলে মিলে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি অনুরোধ করছি যারা ভ্যাকসিন নিতে সক্ষম তারা দয়াকরে এটি নিন। চলুন সকলে মিলে দেশকে করোনা মুক্ত করি!"
গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনার টিকারকরণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে কেবল দেশের সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়। সেই টিকাকরণের কাজ প্রায় শেষের মুখে। প্রথম পর্যায়ে কোনও নেতা-মন্ত্রী টিকা পাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দ্বিতীয় দফায় শুরু হচ্ছে ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ। মানুষের মধ্যে যাতে টিকাকরণ নিয়ে কোনও ভয় না থাকে তার সাহস দিতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম টিকা নিলেন।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন মোদী। যে টিকার কার্যকারিতা এবং তথ্য নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আক্রমণ শানানো হয়। রীতিমতো রাজনৈতিক তরজাA চলতে থাকে। ভারতে টিকাকরণ শুরুর মাসদেড়েক পরে সেই বিতর্ক অনেকটা থিতিয়ে গেলেও দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে একেবারে স্টেট ড্রাইভ মারলেন মোদী। নিয়ম মোতাবেক অবশ্য কাকে কোন টিকা দেওয়া হবে, তা ব্যক্তিগতভাবে কেউ ঠিক করতে পারেন না। তবে দোশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে মোদী স্পষ্ট বার্তা দিলেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
এদিকে আজ থেকেই শুরু হচ্ছে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি। ‘কো-উইন ২’ অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিবদ্ধ করতে হবে। এবার ৬০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের টিকাকরণ চলবে দেশে। পাশপাশি ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলেও টিকা পাবেন তাঁরা। তার জন্য সোমবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হচ্ছে নাম নথিভুক্তিকরণ। নথিবদ্ধ করার সময় সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে। আধার, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথি গ্রাহ্য হবে। এ ছাড়া নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে নাম লেখালে ওই অ্যাপে টিকাকরণ ‘নিশ্চিত’ দেখালে সেখানেই টিকাকেন্দ্রের নাম ও সময় উল্লেখ করা থাকবে। সেই নথির কপি এবং সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যেতে হবে। শোনা যাচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও।