আজ, মঙ্গলবার শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় (Shraddha Murder Case) চার্জশিট দাখিল করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ ৬৬৩৬ পৃষ্ঠার বিস্তারিত চার্জশিট দাখিল করেছে। ওই চার্জশিটে অভিযুক্ত আফতাবের (ওিূোব ঝদদলোৈোতো) বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু আফতাব নিজেই সেই চার্জশিট তার আইনজীবীকে দেখাতে চান না। তিনি আইনজীবী পরিবর্তনের কথা বলেছেন। আপাতত আফতাবের বিচার বিভাগীয় হেফাজত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এই মামলায় দিল্লি পুলিশ ৭৫ দিন পর চার্জশিট দাখিল করল। পুলিশ আফতাবের নারকো টেস্ট করেছে, পলিগ্রাফি টেস্ট করেছে, নানা ধরনের প্রশ্ন-উত্তর করা হয়েছে, তারপর এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে আফতাব। প্রথমে তার গলা টিপে হত্যা করা হয়। এবং যখন তিনি মারা যান, তাঁর দেহকে অনেক টুকরো জঙ্গলে ফেলে আফতাব। গত বছরের ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আফতাব বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি।
শ্রদ্ধার বন্ধুদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আফতাব শ্রদ্ধাকে মারধর করত। সে তাঁর প্রতি হিংস্র ছিল। গত বছরের ১৮ মে একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এবং আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যা করে।
সূত্রের খবর, নারকো পরীক্ষায় আফতাবের স্বীকারোক্তিও চার্জশিটে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, নারকো টেস্টের রিপোর্ট এই মামলার ক্ষেত্রে অতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে না। এছাড়াও দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি এলাকা থেকে চুল এবং হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল। DNA পরীক্ষায় সেগুলিও শ্রদ্ধার বলে জানা গিয়েছে। চার্জশিটে সমস্ত DNA রিপোর্টের উল্লেখ থাকছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত বছর দিল্লির ছতরপুর এলাকা থেকে শ্রদ্ধার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে নিহতের লিভ-ইন পার্টনার আফতাবকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, গত বছরের ১৮ মে প্রথমে শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। সূত্রের খবর, কী ভাবে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণ থাকছে চার্জশিটে। তদন্তে নেমে ছতরপুর এলাকা থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পরে সেগুলির DNA পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় ওই হাড় যে শ্রদ্ধার, তা জানা গিয়েছে। এই DNA পরীক্ষার কথাও চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ উল্লেখ করেছে বলে জানা গেছে।