Advertisement

Mahashivratri 2022: শিবরাত্রির আগে জানুন মহাদেবের ত্রিনয়নের রহস্য

Shiva Puja 2022: মহাদেব তৃতীয় চোখ মেললেই নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে ভুবন! ত্রিনয়নের রহস্য কী? পুরাণের কাহিনি কী বর্ণিত হয়েছে?

শিবের ত্রিনয়নের তাৎপর্য।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 18 Feb 2022,
  • अपडेटेड 7:58 PM IST
  • ১ মার্চ মহাশিবরাত্রি।
  • মহাদেবের ত্রিনয়নের রহস্য কী?
  • জানুন পৌরাণিক কাহিনি।

Maha Shivaratri 2022: মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহাশিবরাত্রি। চলতি বছর ১ মার্চ, মঙ্গলবার শিবের আরাধনা করবেন ভক্তরা। একাধিক রূপে পূজিত হন মহাদেব। তবে সর্বাধিক প্রচলিত রূপ- মাথায় জটা, হাতে-গলায় রুদ্রাক্ষ এবং গলায় জড়িয়ে থাকা সাপ। আর কপালে ত্রিনয়ন। শিবের তৃতীয় চক্ষুর ব্যাপারে অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এর পিছনে কী রহস্য? 

শিবের দিব্য দৃষ্টি

কথিত আছে, শিবের তৃতীয় নয়ন আসলে তাঁর দিব্য দৃষ্টি। এই দিব্য দৃষ্টি থেকে কোনও কিছুই বাদ পড়ে না। ভোলানাথের তৃতীয় নয়নকে জ্ঞানচক্ষুও বলা হয়। এতে আত্মজ্ঞানপ্রাপ্ত হয়। তিন লোকের গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারেন তিনি। তৃতীয় চোখ দিয়ে সমস্ত বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন গৌরীশ। তৃতীয় নয়ন তাঁর শক্তি কেন্দ্রও। এমনও মনে করা হয়, শিব তৃতীয় চোখ খুললেই ভষ্মীভূত হয়ে যাবে গোটা বিশ্ব। 

ত্রিনয়ন নিয়ে নানা পৌরাণিক কথা

শিবের তৃতীয় চোখ নিয়ে বিভিন্ন কথা বর্ণিত রয়েছে পুরাণে। এমনই একটি কাহিনি, একদা ধ্যানে মগ্ন ছিলেন মহাদেব। তখন দু'হাতে তাঁর চোখ ঢেকে দিয়েছিলেন পার্বতী। তাতে গোটা দুনিয়া অন্ধকারময় হয়ে যায়। সৃষ্টিকে বাঁচাতে তৃতীয় নয়ন মেলেন শিব। গোটা দুনিয়ায় তখন আলোর প্রকাশ। তপ্ত ধরাতল। হাত সরিয়ে নেন পার্বতী। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে ভুবন। বোঝা যায়, শিবের একটি চোখ সূর্যের সমান, আর একটি চন্দ্রের। 

দ্বিতীয় পৌরাণিক কথা 

আর একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, একদা যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন ব্রহ্ম প্রজাপতি দক্ষ। সেখানে সতীর সামনেই শিবকে অপমানিত করেন তিনি। আত্মদাহ করেন সতী। এই ঘটনার পর ভেঙে পড়েছিলেন ভোলেনাথ। কয়েক বছর ধরে চলে গিয়েছিলেন গভীর তপে। তন্মধ্যে সতীর পুনর্জন্ম হয় হিমালয়পুত্রী হিসেবে। কিন্তু শিব ধ্যানে মগ্ন। জাগতিক কোনও ব্যাপারেই তাঁর আগ্রহ নেই। সকল দেবতা চাইছিলেন, শীঘ্রই মিলন হোক মহাদেব ও শক্তির। কিন্তু শিবের ধ্যান ভাঙানোর সব চেষ্টাই বিফল হয়। তখন কামদেবের সাহায্য নেন দেবতারা। 

Advertisement

নানা উপায়ে শিবের ধ্যান ভগ্নের চেষ্টা করেন কামদেব। এরপর আম গাছের আড়াল থেকে শিবের উদ্দেশে পুষ্প বাণ চালান। তা শিবের হৃদয়ে গিয়ে লাগে। ধ্যান ভাঙে শিবের। ক্রোধে কাঁপছেন মহাদেব। তৃতীয় নেত্র দিয়ে ভষ্ম করে দেন কামদেবকে। দেবতারা খুশি হন, অন্তত শিবের ধ্যান তো ভেঙেছে। তবে কামদেব নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁর স্বামীর পুনর্জীবন চেয়ে প্রার্থনা করেন কামদেবের স্ত্রী। শিব জানান, দ্রাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের পুত্র হিসেবে জন্ম নেবেন কামদেব। 

আরও পড়ুন- কেতুর গোচরে উথাল-পাথাল হতে পারে এই ৭ রাশির জীবনে

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement