Makar Sankranti 2022: আজ সারা দেশে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) পালন করা হবে। এই দিন মানে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)-তে খিচুড়ি (Khichuri or Khichdi) খাওয়া এবং দান করার রীতি রয়েছে। এই কাজের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জ্য়োতিষের মতে, খিচুড়ির সঙ্গে আলাদা-আলাদা গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে।
খিচুড়ি (Khichuri or Khichdi)-তে থাকা চাল, ডাল, হলুদ, সবজির পাশাপাশি রান্না করার ধরন কোনও না কোনও বিশেষ গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত।
খিচুডির মাহাত্ম্য
জ্যোতিষাচার্য জানিয়েছেন, ধার্মিক মাহাত্ম্য অনুসারে, মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)-র খিচুড়ি (Khichuri or Khichdi)-তে চাল, ডাল, হলুদ, মটর এবং কাঁচা সবজির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। খিচুড়ার চাল চাঁদ এবং শুক্রর শান্তির যোগ রয়েছে। কালো ডাল শনি, রাহু এবং কেতুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বৃহস্পতির। এবং সবুজ সবজির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বুধের। আর যখন খিচুড়ি রান্না করা হয়, তখন যে তাপ তার সম্পর্ক রয়েছে মঙ্গল এবং সূর্যদেবের সঙ্গে।
এ ভাবে মকর সংক্রান্তির খিচুড়ি প্রায় সব ক'টি গ্রহের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)-র দিন খিচুড়ি খাওয়া এবং দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
বাবা গোরক্ষনাথের কথা
জ্যোতিষাচার্য জানাচ্ছেন, খিচুড়ির সঙ্গে বাবা গোরক্ষনাথের একটি কাহিনি রয়েছে। মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)-র দিন খিচুড়া খাওয়ার এমন গুরুত্ব রয়েছে যে খিলজির আক্রমণের সময় বাবা গোরখনাথের সাধুরা খাবার তৈরি করতে পারতেন না। আর দিনের পর দিন অভুক্ত থাকার ফলে তিনি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েন।
তখন বাবা গোরখনাথ পরামর্শ দেন, চাল, ডাল আর সবজি একসঙ্গে রান্না করতে। নতুন ওই খাবারের নাম হয় খিচুড়ি। আর তাই মকর সংক্রান্তির দিন গোরক্ষপুরে অবস্থিত বাবা গোরক্ষনাথের মন্দিরের পাশে খিচুড়ির মেলা লেগে যায়। এই সময়ে বাবাকে খিচুড়ির বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়।
দিন বড় হতে শুরু করে
মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যদেবের পাশাপাশি নিজেদের আরাধ্য দেবকেও ভোগ দেওয়া দরকার। এতে সূর্যদেব প্রসন্ন হন। এর পাশাপাশি বাকি গ্রহগুলিও শান্ত থাকে। এইদিন সূর্যদেবের মন্ত্র জপ করলেও লাভ হয়। এইদিন সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়।
এরপর থেকে দিন বড় হতে থাকে। আর রাত ছোট হতে থাকে। সূর্যের গতিবেগে বদল আসতে থাকে। এর ফলে সূর্যদেবের তেজ এবং উষ্মা আসে। নিজের পুত্র শনির রাশি মকরে প্রবেশ করেন।