জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে,জন্মকোষ্ঠীতে থাকা গ্রহগুলির অবস্থান দেখে কোনও ব্যক্তির বর্তমান, অতীত এবং ভবিষ্যৎ জানা যায়। তেমনভাবেই সমুদ্রশাস্ত্র আবার ব্যক্তির শরীরের গঠন দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করে। সমুদ্রশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন বলে দেয় সে কেমন! তাঁর স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব। এমনকি সেই ব্যক্তি ভবিষ্যতে কী করতে পারে, তা-ও বলে দেয় সমুদ্রশাস্ত্র।
সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে শরীরের অন্যতম অঙ্গ হল দাঁত। দাঁতের আকৃতির উপরে নির্ভর করে মানুষের স্বভাব ও ব্যক্তিত্ব। জানা যায়, তিনি কেমন মানুষ। দাঁতের গঠন থেকে মানুষের ভাগ্য,সম্পদ এবং জীবনের সুখ-দুঃখও সম্পর্কে আভাস মেলে। তাই দাঁতের গঠন ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাদা এবং সুন্দর দাঁত-সমুদ্রশাস্ত্রের মতে,যে সব ব্যক্তির দাঁত সাদা ও সুন্দর,তাঁরা সৌভাগ্যের অধিকারী হন। তাঁদের স্বভাব খুবই মিশুকে। তাঁরা সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারেন। এ কারণে তাঁরা থাকেন সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রে। আর হবে নাই বা কেন! দিলখোলা সুন্দর হাসি সকলেই পছন্দ করেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা হাসমুখ হন। মজা করতে ভালবাসেন। তাঁরা শিল্পপ্রেমী হন। নিজেরাও সৃজনশীল কাজ করতে ভালবাসেন।
দাঁতের মাঝে ফাঁক-কোনও ব্যক্তির দাঁতের মধ্যে ফাঁক থাকলে তিনি চালাক প্রকৃতির হন। এই ব্যক্তিরা সহজেই যে কারও কাছ থেকে নিজের কাজ করিয়ে নেন। কাজ আদায় করিয়ে নিতে তাঁরা ওস্তাদ। তাঁরা অন্যদের দ্রুত প্রভাবিত করতে পারেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা যে কোনও পরিস্থিতিতে সুখী হওয়ার চেষ্টা করেন। দাঁতে ফাঁক থাকা ব্যক্তিরা কারও চাপে কাজ করে না।
ছোট দাঁত- সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, যাঁদের দাঁত ছোট, সেই সব মানুষ খুবই স্বার্থপর এবং লোভী হন। এই ধরনের লোকেরা নিজেদের স্বার্থের জন্য যে কোনও সীমা পার করতে প্রস্তুত থাকেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন। ব্যবসায়িক মানসিকতার হন। সব পরিস্থিতিতেই খুশি থাকেন। নিজের স্বপ্নপূরণে পিছনে ছোটেন।
চওড়া দাঁত-কোনও ব্যক্তির বেশি চওড়া হলে তাঁরা সাহসী প্রকৃতির হন। তাঁরা কোনও কিছুতেই ভয় পান। স্বভাবে নির্ভীক। তাঁদের থাকে প্রবল আত্মসম্মান বোধ। সেই সঙ্গে এই সব মানুষের কাজের ধরনও অনেক আলাদা।