গরম পড়লে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কম-বেশি বাড়ে ঠান্ডা বিয়ারের চাহিদা। এ বছর দিল্লি সহ ভারতের উত্তরাংশের রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে বিয়ারের ব্যাপক চাহিদার তুলনায় জোগানের বিরাট ঘাটতির সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
বাংলাতেও এ বছর বিয়ারের চাহিদা ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য প্রায় সব জেলাতেই বিয়ারের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। অনেক দোকানেই বিকেলের পর বিয়ার কিনতে গেলে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সুরাপ্রেমীদের।
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এ রাজ্যে মূলত ভারতে তৈরি হওয়া বিলিতি মদের দাম কমিয়েছে রাজ্য আবগারি দফতর। রাম, হুইস্কি, ভদকা বা বিয়ার— সবেরই দাম বেশ কিছুটা করে কমেছে। দাম কমায় রাজ্যে মদের বিক্রিও বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।
আবগারি দফতরের হিসাব বলছে, এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে বিয়ার বিক্রি থেকেই ৬৫০ কোটি টাকা জমা পড়েছে আবগারি দফতরের ঘরে।
বাংলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ‘অফ শপ’ রয়েছে। প্রায় সর্বত্রই রাম, হুইস্কি, ভদকা, জিনের তুলনায় বিয়ারের বিক্রি অনেকটাই বেশি হয়েছে। মাত্র ৩ মাসে বিপুল পরিমাণ লাভের টাকা ঢুকেছে রাজ্যের কোষাগারে।
গত বছরের নভেম্বরে নতুন আবগারি নীতি কার্যকর হওয়ার পরে, মদের খুচরো বিক্রেতারা গ্রাহকদের দুর্দান্ত অফার দিয়ে উৎসাহিত করছেন। ফলে বিয়ার সহ সব ধরনের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের চাহিদা আর বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।
আবগারি দফতরের নতুন দামের তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যে বিয়ারের দাম (৬৫০ মিলিলিটার) ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ১১০ টাকার বোতল এখন ১০৫ টাকায় কেনা যাবে, ১৪০ টাকার বিয়ার মিলছে ১২৫-৩০ টাকায়।
গত বছরের নভেম্বর থেকে দাম কমায় বিয়ারের চাহিদা আর বিক্রি এ বছর এতটাই বেড়েছে যে পর্যাপ্ত জোগান সত্ত্বেও নিমেষে ফুরিয়েছে দোকানের স্টক। এমনিতে রাজ্যে বিক্রি হওয়া মোট মদের প্রায় ৭০ শতাংশই বিয়ার। তবে এ বছরের বিয়ারের চাহিদা আরও একটু বেশি।