এই বছর পেট্রোলের দাম এখনও পর্যন্ত ৩৯ বার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাত্র একবার কমেছে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই বাদল অধিবেশনে বিরধী শিবিরের একটি প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।
লোকসভার বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস সাংসদ মনিকাম ঠাকুরের একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি পেট্রোলের পাশাপাশি ডিজেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়েও সরকারি তথ্য সামনে আনেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ডিজেলের দাম ৩৬ বার বেড়েছে, আর দু’বার কমেছে।
প্রায় ৩ মাস পরে গত সোমবার সামান্য কমেছে ডিজেলের দাম। তবে পেট্রোলের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী! হিসেব বলছে, শেষ তিন মাসে আর কমেনি পেট্রোলের দাম, তবে লিটারে দর বেড়েছে প্রায় ১৪ টাকা! দিল্লিতে আজ পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০১ টাকা ৮৪ পয়সা আর ডিজেল প্রতি লিটার ৮৯ টাকা ৮৭ পয়সা।
মে আর জুন মাস মিলিয়ে মোট ৩২ বার বেড়েছিল তেলের দাম। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। তা সত্ত্বেও জুলাই মাসেও ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম। ভোট পরবর্তিকালে মোট ৩৯ বার বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দর!
পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে, মোদী জামানায় পেট্রোলের দাম লিটারে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় করের পরিমাণ।
২৬ মে, ২০১৪-এ দেশের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী (Fourteenth Prime Minister) হিসাবে প্রথম শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। সে সময় দিল্লিতে পেট্রোলের দাম সাড়ে ৭১ টাকার আসেপাসে ছিল। কলকাতায় তখন পেট্রোলের দাম ৭৯ টাকা।
মোদী সরকার ২০১৪ সালে যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন পেট্রোলে উৎপাদন শুল্ক ছিল প্রতি লিটারে ৯ টাকা ৪৮ পয়সা আর ডিজেলের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুল্ক ছিল ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। এখন ওই শুল্ক বেড়ে হয়েছে পেট্রলে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা এবং ডিজেলে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা।
পেট্রোল, ডিজেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরেও। ফলে সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে দেশের আম জনতার।