7th Pay Commission Latest Update: কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য দুর্দান্ত খবর রয়েছে। মহার্ঘ ভাতা (DA Hike) বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এবার আরও একটি বড় খবর পেতে চলেছেন কেন্দ্রীয় কর্মীরা। মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর আগেই কর্মচারীদের বড় সুখবর দিল সরকার। চলতি সপ্তাহে সরকারি আধিকারিকদের পদোন্নতি দিতে প্রস্তুত সরকার। এ জন্য মন্ত্রক সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে।
বড় ঘোষণা সরকারের
সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ সার্ভিস গ্রুপ A-এর অফিসারদের একটি প্রতিনিধি দল গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-এর সাথে দেখা করেছিল, তারপরে পদোন্নতি সংক্রান্ত একটি বড় ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্মচারী মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সফররত প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়েছেন যে নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে। অর্থাৎ কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বড় খবর পাওয়া যেতে পারে।
প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে
পদোন্নতির আগে এক বছর থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত আধিকারিকদের জন্য প্রশিক্ষণ আবশ্যক। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে বলেছিলেন যে তিনি তাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন এবং পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কোনও সমস্যা সমাধান করা হবে। সিং আরও বলেছিলেন যে এখান থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতের সমস্ত পদোন্নতি একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হবে।
৩৮ শতাংশ DA বৃদ্ধি
উল্লেখযোগ্যভাবে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের ডিএ ৪% বাড়িয়েছে। AICPI সূচকের ভিত্তিতে সরকার বাড়িয়েছে ৪ শতাংশ। এর পর কর্মচারীদের ডিএ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। এর আগে ১জুলাই, ২০২২-এ, ৮০৮৯ জন কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪,৭৩৪ জন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস (CSS), ২,৯৬৬ জন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট স্টেনোগ্রাফার সার্ভিস (CSSS) এবং ৩৮৯ জন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট ক্লারিক্যাল সার্ভিস (CSCS) থেকে।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় কর্মীরা অধীর আগ্রহে অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সরকার আর কোনো কমিশন গঠনের মানসিকতায় নেই বলে মনে হচ্ছে। সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে আর কোনো বেতন কমিশন গঠনের প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ একভাবে বলতে গেলে বেতন কমিশনের দিন শেষ। সরকার এমন একটি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে যাতে কর্মচারীদের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ইনক্রিমেন্ট হবে ও তাদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য Aykroyd সূত্রের ভিত্তিতে সকল ভাতা ও বেতন পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে প্রতি দশ বছর অন্তর একটি বেতন কমিশন গঠন করা হয়। এর সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত সাতবার পে কমিশন করা হয়েছে। দেশের প্রথম বেতন কমিশন ১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে গঠিত হয়েছিল এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠিত হয়েছিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি সোমবার সংসদে বলেছেন যে বর্তমানে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কোনও প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন নয়।
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে
লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তর দেন চৌধুরি । তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের প্রস্তাব সরকার বিবেচনাধীন আছে কি না যাতে এটি পয়লা জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর করা যেতে পারে। চৌধুরি অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছেন যে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্য থেকে স্পষ্ট যে, এ ধরনের কোনো কমিশন আর গঠন করার মানসিকতা নেই।
চৌধুরী ইতিমধ্যেই বলেছেন যে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন, ভাতা এবং পেনশন পর্যালোচনা করার জন্য অন্য বেতন কমিশন গঠনের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বেতন ম্যাট্রিক্স পর্যালোচনা এবং সংশোধনের জন্য একটি নতুন সিস্টেমে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, সরকার এমন একটি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে যাতে কর্মচারীদের পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্টের ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধি পাবে। সমস্ত ভাতা এবং বেতন Aykroyd সূত্রের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা যেতে পারে, তিনি বলেছেন।