Advertisement

BIG BAZAAR মনে আছে? অঢেল সম্পদের মালিক থেকে বিপুল দেনা, কেন?

বিগ বাজারের এই প্রবীণ ব্যবসায়ীরা কীভাবে মেঝেতে পৌঁছলেন? একসময় অঢেল সম্পদ ছিল... আজ গরিব!

বিগ বাজার কোথায় হারিয়ে গেল?
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 13 Apr 2024,
  • अपडेटेड 12:46 PM IST
  • পুজোর শপিং হোক বা রবিবারের আউটিং, মল কালচার আজকাল সবার জীবনে জড়িয়ে। শহর ছাড়িয়ে তা পৌঁছেছে মফস্বল এমনকি গ্রামেও।
  • কিন্তু ভারতে সেই মল কালচার এনেছিলেন যে ব্যবসায়ী, তিনিই আজ সঙ্কটে। গভীর ঋণে জর্জরিত ফিউচার গ্রুপের মালিক কিশোর বিয়ানি।
  • বিগ বাজারের মতো মেগা প্রোজেক্টও যে একদিন ব্যর্থ হবে, তা কে জানত?

পুজোর শপিং হোক বা রবিবারের আউটিং, মল কালচার আজকাল সবার জীবনে জড়িয়ে। শহর ছাড়িয়ে তা পৌঁছেছে মফস্বল এমনকি গ্রামেও। কিন্তু ভারতে সেই মল কালচার এনেছিলেন যে ব্যবসায়ী, তিনিই আজ সঙ্কটে। গভীর ঋণে জর্জরিত ফিউচার গ্রুপের মালিক কিশোর বিয়ানি। বিগ বাজারের মতো মেগা প্রোজেক্টও যে একদিন ব্যর্থ হবে, তা কে জানত?

পরিস্থিতি এমন যে মুম্বইয়ের প্রাচীনতম মলটিও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁদের। মুম্বই গেলেই অনেকে SOBO সেন্ট্রাল মলে যান। কোভিডের সময় থেকেই বেশ সমস্যায় ফিউচার গ্রুপ।

মল বিক্রি করে বিশাল দেনার শোধ করছেন ফিউচার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর বিয়ানি। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিউচার গ্রুপ এভাবে একযোগে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকার বকেয়া মিটিয়েছে। মল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ঋণদাতাদের ৫৭১ কোটি টাকা বকেয়া শোধ করেছে। তবে এখনও বড় অঙ্কের ঋণ বাকি। ঋণদাতাদের বকেয়ার ৮৩ শতাংশ এখনও পর্যন্ত মেটানো হয়েছে।

মুম্বইয়ের সবচেয়ে পুরনো মল
কে রাহেজা কর্পোরেশন সোমবার মলটি কেনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কে রাহেজা কর্প সরাসরি ব্যাঙ্কগুলির হাতেই টাকা দিয়েছে। এটিই মুম্বইয়ের প্রাচীনতম মল। এতদিন বিয়ানি পরিবারের মালিকানাধীন ছিল। কিন্তু এবার এটি কে রাহেজা কর্পের হাতে।

কোভিডের সময় থেকেই মলের অবস্থা খারাপ
মল চলে মূলত দোকান-ফ্লোর স্পেস লিজ/ভাড়া দিয়ে। মল বানানোর পিছনে উদ্দেশ্য এটাই। কিন্তু কোভিডের টাইম বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। অবস্থা এমনই হয়, বহু দোকান তাদের মাসিক ভাড়া/লিজের অঙ্ক দিতে পারছিল না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফিউচার গ্রুপ বড়সড় আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হয়। বহু ফাঁকা ফ্লোর স্পেস পড়ে আছে। এখনও তাতে কোনও দোকান বসানো যায়নি।

কত ঋণ?
কানারা ব্যাঙ্কের কাছে সংস্থার বকেয়া ১৩১ কোটি টাকা। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (PNB) কাছে ৯০ কোটি টাকা। এছাড়াও, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের কাছে ৩৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

Advertisement

কিশোর বিয়ানি কীভাবে ফিউচার গ্রুপ গড়েছিলেন?
টেক্সটাইল ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম। পরিবার সূত্রেই তাই ব্যবসার প্রতি আলাদা ঝোঁক ছিল কিশোর বিয়ানির। ১৯৮০-র দশক। তখন কিশোর বিয়ানি যুবক। নতুন কী ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেন। এদিকে সেই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিন্স খুব জনপ্রিয়। ভারতেও ধীরে ধীরে মানুষ জিন্স পড়ছে। সেটা দেখেই কিশোর বিয়ানি স্টোন ওয়াশ ডেনিম কাপড় বিক্রি করা শুরু করেন। তাতে সাফল্যের পর রিটেল ব্যবসায় প্রবেশ করেন। ১৯৮৭ সালে মেনস ওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি শুরু করেন। ১৯৯১ সালে তার নাম পরিবর্তন করে প্যান্টালুন ফ্যাশন ইন্ডিয়া লিমিটেড করা হয়। ১৯৯৪ সালে সারা দেশে দোকান খোলা শুরু করে এই প্যান্টালুন্স।

অঢেল সম্পদের মালিক ছিলেন
২০০২ সালে মার্কিন ধাঁচে মল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। বিগ বাজার শুরু করে ফিউচার গ্রুপ। কিশোর বিয়ানি বুঝেছিলেন, বড় মলে সস্তায় জিনিস রাখতে হবে। তবেই বেশি সংখ্যক মানুষকে আকৃষ্ট করা যাবে। করেছিলেন ঠিক সেটাই। দেশের প্রতিটি প্রান্তে মল খোলে বিগবাজার। শেয়ারও চড়ে পাল্লা দিয়ে। একসময়ে তিনি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁর মোট সম্পদ ছিল $২.৮ বিলিয়ন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement