Presidency University Milieu 2022: সেজে উঠেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। উপলক্ষ্য, তাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 'মিলিউ'। ইউনিয়ন রুম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়াল সাজিয়ে তোলা হয়েছে সুন্দর করে। সব ছবি সৌজন্য: মিলিউ ফেসবুক পেজ
উৎসবের আবহে রং-তুলিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, বহুত্ববাদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
তাদের উৎসব এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২০ মে পর্যন্ত। এই সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান। গত দুবছর করোনার জন্য বাদ রাখতে হয়েছিল 'মিলিউ'। তবে এ বার পরিস্থিতি আলাদা। তাই বেশ জাঁকজমক করেই আয়োজন করা হয়েছে।
বলা যেতে পারে, তাদের ফেস্টের মূল অনুষ্ঠান ১৮-২০ মে। ওই তিনদিন তুঙ্গ ছোঁবে আনন্দ-আয়োজন।
আনন্দের উৎসবে শামিল পড়ুয়ারা নিজেদের সামাজিক দায়-দায়িত্ব ভুলে যায়নি। আর তা-ই যেন বলে যাচ্ছে প্রেসিডেন্সির দেওয়াল। প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদ এসএফআই পরিচালিত।
আরও পড়ুন: MBA করতে চান? রয়েছে একগুচ্ছ স্কলারশিপ, জেনে নিন আপনি কোনটা পেতে পারেন
আরও পড়ুন: মেলা আছে, ভিড় কম, অজয়ের পাড়ে কাঁদছে কেঁদুলি
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট-কনস্টেবলদের রিফ্লেকশন জ্যাকেট-শোল্ডার লাইট মাস্ট
কেন এমন ভাবে সাজানো হল? এ ব্য়াপারে মিলিউ-এর আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মূল কারণ তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। শুধু নামের জন্যই রাজনৈতিক ছাত্র সংসদ, তেমন নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে এই ছাত্র সংসদের।
তারা জানাচ্ছে, স্টেট মেশিনারি বা এখন যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছে তাদের যে জনবিরোধী নীতি সেগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, বহুত্ববাদের বার্তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানাচ্ছে, উৎসব মানে তাদের কাছে শুধু ফূর্তি করা নয়। তারা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। তাই রাজনৈতিক বার্তা থাকবে।
কোভিডের সময় শ্রমজীবী মানুষের জন্য বেশি করে কথা বলা, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বেশি করে কথা বলার কাজ করেছিল প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ। তাই রাজনৈতিক কথা তো বলবেই। জানাচ্ছে তারা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দেওয়াল রং করার কাজ সবাই করেছে। এমন নয় যারা এসএফআই করে, তারা এই দেওয়াল এঁকেছে, রং করার, সাজানোর কাজ করেছে। যারা রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, তারা এ কাজ করেছে।
এপ্রিল মাসে থেকে চলছে বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিল খেলাধুলোর অজস্র প্রতিযোগিতা।
সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অন্য মাত্রা পেয়েছে তাদের এই কর্মকাণ্ড।