সকালেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে TET পরীক্ষা। দুপুরেই বৈঠকের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করলেন, ১১ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে TET পরীক্ষা। প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
আজ অর্থাত্ সোমবার পর্ষদের সভাপতি বলেন, 'এবার থেকে প্রতি বছরই টেট হবে। পুজোর আগেই আমরা নোটিফিকেশন দিয়ে দিচ্ছি। যেহেতু পুজোর ছুটি পড়ে যাচ্ছে, তাই লক্ষ্মীপুজোর পরেই রেজিস্ট্রেশন শুরু করব।'
লক্ষ্মীপুজোর পরেই রেজিস্ট্রেশন
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানান, ১১ ডিসেম্বর TET পরীক্ষা হবে। পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে টেট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১১ ডিসেম্বর নেওয়া হবে টেট পরীক্ষা। লক্ষ্মীপুজোর পরেই শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন। পর্ষদের পোর্টালেই আবেদন জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। লক্ষ্মীপুজোর পরে পোর্টাল খুলে দেওয়া হবে। সেখানেই নাম নথিভূক্ত করা যাবে। অ্যাডমিট কার্ডও ওই পোর্টাল থেকেই ডাউনলোড করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সেপ্টেম্বরের মধ্যে টেট পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ পালন করতে পারছে না, এই মর্মে শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে।
রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কত সংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে তার তালিকা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের থেকে চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর বিভিন্ন জেলা থেকে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সেই তালিকা চেয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলিতে।
গত তিনবার ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল
২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষা নেয় পর্ষদ। এই টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এই আবহে নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। নতুন সভাপতি এবং অ্যাডহক কমিটি আসার পর বৈঠক হয়। সেই বৈঠক টেট পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।