Advertisement

Joy Shreeram: খাতায় জয় শ্রীরাম লিখে পাস করেছিলেন, জানাজানি হতেই অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন

যে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কপি পরীক্ষা করে ৫২ ও ৩৪ নম্বর দিয়েছিলেন, সেই একই কপি বহিরাগত শিক্ষকরা পরীক্ষা করলে শিক্ষার্থীরা 'শূন্য' ও ৪ নম্বর পায়। বিষয়টির গুরুত্ব দেখে দুই অধ্যাপককে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য বন্দনা সিং।

খাতায় জয় শ্রীরাম লিখে পাস করেছিলেন, জানাজানি হতেই অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন
Aajtak Bangla
  • লখনউ,
  • 25 Apr 2024,
  • अपडेटेड 8:52 PM IST

জৌনপুরের বীর বাহাদুর সিং পূর্বাচল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষায় বহু অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। এই মামলাটি ফার্মেসি বিভাগের, যেখানে কপি চেকিংয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেশি নম্বর দিয়েছিলেন। যেখানে কপিতে সঠিক উত্তরের পরিবর্তে, জয় শ্রী রামসহ অন্যান্য কথা লেখা ছিল। ছাত্র নেতা আকাশ এবং দিব্যাংশু এই বিষয়ে আরটিআই দায়ের করেছিলেন। এর পরে বহিরাগত শিক্ষকদের দ্বারা অনুলিপিগুলি মূল্যায়ন করা হয়েছিল।

যে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কপি পরীক্ষা করে ৫২ ও ৩৪ নম্বর দিয়েছিলেন, সেই একই কপি বহিরাগত শিক্ষকরা পরীক্ষা করলে শিক্ষার্থীরা 'শূন্য' ও ৪ নম্বর পায়। বিষয়টির গুরুত্ব দেখে দুই অধ্যাপককে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য বন্দনা সিং।

পুরো ব্যাপারটা কী?
জৌনপুরের বীর বাহাদুর সিং পূর্বাচল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি ফার্মা কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রদের সঠিক উত্তর না দিয়ে পাশ করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দিব্যাংশু সিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আরটিআই-এর আওতায় তথ্য চেয়েছিলেন। ৩ আগস্ট ২০২৩-এ একই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। পাবলিক ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে ডি ফার্মা কোর্সের প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর দেওয়ার সময়, দিব্যাংশু তাদের কপিগুলি বের করে পুনরায় মূল্যায়ন করতে বলেছিলেন।

কপিতে লেখা 'জয় শ্রী রাম'
আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ঘুষ নিয়ে ছাত্রদের পাশ করিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই ছাত্রের। ছাত্র দিব্যাংশু যথাযথভাবে একটি হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ পত্রের সাথে সংযুক্ত করে রাজভবনে প্রমাণ পেশ করে। শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য-প্রমাণে উল্লেখ করা হয়েছে, কপি যাচাই-বাছাই ভুলভাবে করা হয়েছে। অনুলিপিতে উত্তরে জয় শ্রী রাম এবং খেলোয়াড়দের নাম লেখা ছিল। তা সত্ত্বেও অধ্যাপক ছাত্রদের নম্বর দিয়েছিলেন।

Advertisement

গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি
ছাত্রের অভিযোগের চিঠি এবং হলফনামা বিবেচনা করে, রাজভবন ২১ ডিসেম্বর ২০২৩-এ তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ জারি করেছিল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্ক্রুটিনি কমিটি কপিগুলো একজন বহিরাগত অধ্যাপক দ্বারা মূল্যায়ন করেছে। বহিরাগত শিক্ষকদের দ্বারা অনুলিপি মূল্যায়ন করা হলে, শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে ০ এবং ৪ নম্বর পায়।

কী বললেন উপাচার্য?
UP TAK এই বিষয়ে উপাচার্য বন্দনা সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছে। যেখানে তিনি বলেন, ভুল মূল্যায়ন করা দুই অধ্যাপককে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যাংকের কপি মূল্যায়নের সময় অনিয়ম হয়েছে। তিনি জানান, পুনঃমূল্যায়নে নম্বরের অনেক পার্থক্য ছিল। এ বিষয়ে রাজভবনে চিঠি পাঠানো হবে।

ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে
এ ক্ষেত্রে দুই অধ্যাপকের অবশ্যই শাস্তি হবে। প্রফেসর বিনয় ভার্মা এবং প্রফেসর আশিস গুপ্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিঠি দিতে চলেছে। প্রো. ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হয়েছেন বিনয় ভার্মা। ইউএফও থেকে টাকা সহ ধরা মোবাইল ফোন, সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায়ও উঠে আসে বিনয় ভার্মার নাম। এর পরে বিনয় ভার্মাকে প্রশাসনিক কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement