Advertisement

বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে কর্মসমিতিতে জোড়া চিঠি, উঠছে দুর্নীতির অভিযোগও

বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা ছাত্রবিরোধী। তাদের দাবি, তিন বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীকে যে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে তার নোটিশ পরিষ্কারভাবে দিতে হবে এবং অনৈতিক সাসপেনশন ও বহিষ্কারের সময়ে তাদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে হবে। অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল খুলতে হবে এবং কোভিড বিধি মেনে অফলাইন পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • শান্তিনিকেতন,
  • 26 Jan 2022,
  • अपडेटेड 2:06 PM IST
  • দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে
  • কর্মসমিতিতে জোড়া চিঠি
  • বেশকিছু দাবিদাওয়া ছাত্রছাত্রীদের

বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) কর্মসমিতির বৈঠকের আগে উপাচার্য এবং এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চিঠি দিল কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতি। একইভাবে ছাত্রছাত্রীদের একাংশও একাধিক দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে কর্মসমিতিকে। দুটি চিঠিই বিশ্বভারতী কর্মসচিবের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখার কর্মসমিতি এই দুটি চিঠির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়। 

কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে কর্মসমিতিতে চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, পৌষ মেলা আয়োজন করে থাকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্টের সদস্য নন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগের আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ। এমনকী নোডাল অফিসার বলে কোন পদেরও উল্লেখ নেই। কিন্তু পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়ার সময় যে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল সেখানে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের নোডাল অফিসার হিসাবে সঞ্জয় ঘোষে নাম উল্লেখ ছিল এবং তিনিই ওই টেন্ডার ডাকেন। সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলেই দাবি কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির। একইভাবে সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে পৌষ মেলায় ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে যে সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয়েছিল তার একাংশ এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতি পক্ষ থেকে আমিনুল হোদা বলেন, পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল দেওয়ার সময় নোডাল অফিসার হিসাবে সঞ্জয় ঘোষ যে টেন্ডার ডেকেছিলেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি। 
   
এদিকে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ যে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা ছাত্রবিরোধী। তাদের দাবি, তিন বহিষ্কৃত ছাত্রছাত্রীকে যে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে তার নোটিশ পরিষ্কারভাবে দিতে হবে এবং অনৈতিক সাসপেনশন ও বহিষ্কারের সময়ে তাদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে হবে। অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে ক্যাম্পাস ও হোস্টেল খুলতে হবে এবং কোভিড বিধি মেনে অফলাইন পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। নির্বাচনভিত্তিক গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে এবং কর্মসমিতি ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্বের অধিকার দিতে হবে। অনলাইন পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য যেসব ছাত্রছাত্রী আটকে গিয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পড়ুয়াদের আরও দাবি, অবিলম্বে সমস্ত ক্লাসের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থাও করতে হবে।

Advertisement

এদিকে এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এই বিষয়ে ছাত্রনেতা সোমানাথ সৌ বলেন, উপাচার্য ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ বন্ধ করতে তাদের সাসপেন্ড এবং বহিষ্কারের ভয় দেখাচ্ছেন। তাই দাবিদাওয়া জানিয়ে কর্মসমিতিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসংবিধান লেখা শুরু হয়েছিল ঠিক কবে? সাধারণতন্ত্র দিবসের কিছু ইতিহাস

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement