WBSSC Scam: কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বাগ কমিটি। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএএসসি)-র গ্রুপ সি এবং ডি নিয়োগ নিয়ে এই কমিটি তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার ওই রিপোর্ট বলছে, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। কমিটির আইনজীবী এমনই জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ১৮ মে রায় দেওয়া হবে।
রিপোর্ট যা বলা হয়েছে
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তা পেশ করেন আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ করেছে ৩৮১ জন প্রার্থীকে। তার মধ্য়ে ২২২ জন পরীক্ষায় দেননি। আর বাকিরা ওই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি।
আরও জানা গিয়েছে, বেশ কিছু অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যে প্যানেল এই নিয়োগ করেছিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। তারপর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। মানে প্য়ানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অরুণাভবাবু জানিয়েছেন, নম্বর বাড়ানো হয়েছে এবং তারপর নিয়োগ করা হয়েছে। ওএমআর সিটেও কারচুপি করা হয়েছে।
মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ
এদিকে, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নম্বর-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। সব তথ্য আপলোড করতে হবে ওয়েবসাইটে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ১৭ জুন পর্যন্ত কোনও নিয়োগ করা যাবে না। জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, নিয়োগ এবং ওয়েটিং মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার নাম ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে এবং যাঁদের নিয়োগ করা হয়নি, সবার প্রাপ্ত নম্বর ও মেধাতালিকা জমা দিতে হবে ২১ মে-র মধ্যে। এই মুহূর্তে কতজন প্রার্থী ওয়েটিং লিস্টে আছেন, প্রকাশ করতে হবে সেই তথ্যও।