ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ দুরমুশ করতে ভূমিপুত্রের উপরই ভরসা রাখল বিজেপি। অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে। এই নিয়ে bangla.aajtak.in-এ প্রথমবার মুখ খুললেন ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী। বললেন, 'অভিষেকের মতো অভিশাপটা দূর করতে হবে।'
কী বলেছেন অভিজিৎ?
মঙ্গলবার সকালে প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই bangla.aajtak.in-এ অভিজিৎ বলেন, 'এটা আমাদের নির্বাচন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ভেবেচিন্তে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই দায়িত্ব অবশ্যই পালন করব।'
বস্তুত, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালেও ডায়মন্ড হারবার থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়েছিলেন অভিজিৎ। তবে দু'বারই হেরে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা কোনও কথা হল নাকি। হার-জিৎ না হলে কোনওদিন নির্বাচন হয়! ২০১৪ সালে যখন আমি দাঁড়িয়েছিলাম, তখন এখানে বিজেপি খুবই কম ছিল। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাকি যে কেন্দ্রগুলি ছিল, তার থেকেও বেশি ভোট পেয়েছিলাম।' ২০০৯ সালে ৩৭ হাজারের কিছুটা বেশি ভোট পেয়েছিলেন অভিজিৎ। ভোট শতাংশ ছিল ৩ শতাংশের কাছাকাছি। ২০১৪ সালে হেরে গেলেও ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন অভিজিৎ। পেয়েছিলেন ২ লক্ষের বেশি ভোট। ভোট শতাংশ ছিল ১৫.৯২ শতাংশ।
অভিষেককে আক্রমণ অভিজিতের
প্রার্থী হওয়ার পরই প্রতিদ্বন্দ্বী অভিষেককে আক্রমণ শানালেন অভিজিৎ। বললেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হওয়ার পর এখানে তো ভোট হয় না। এবার যাতে ভোট হয়,সেটা দেখতে হবে। অভিষেকের মতো অভিশাপটা আমাদের এখান থেকে দূর হবে।'
রাজ্যের নির্বাচন কমিটির কো-ইনচার্জ অভিজিৎ। ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যও তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় বাড়ি অভিজিতের। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত এই নেতা।
ডায়মন্ডহারবার কার্যত অভিষেকের গড় নামেই পরিচিত। ২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই কেন্দ্রে সাংসদ তৃণমূলের 'সেনাপতি'। অভিষেককে হারাতে মরিয়া পদ্ম শিবির। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার এতদিন পরও এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল না বিজেপি। কেন ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা করছে না বিজেপি, তা নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে জল্পনায় উঠে এসেছিল বিভিন্ন নাম। শেষমেশ, বঙ্গ রাজনীতিতে তথাকথিত 'পরিচিত' নন এমন মুখকে ডায়মমন্ডহারবারে প্রার্থী করল বিজেপি। এখন দেখার, অভিষেককে কতটা টক্কর দিতে পারেন বিজেপির এই অভিজিৎ।