ভোটের পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখতে কোনওরকম ঝুঁকি নেবে না নির্বাচন কমিশন। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
মঙ্গলবার ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ। আর তার আগে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন, হিংসা রোখার জন্য ফল প্রকাশের পরেও বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এই বিষয়ে কমিশন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী বলেও জানালেন তিনি।
এই বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব কুমার বলেন, '৭ দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে যা হয়েছে, সেটা দেখে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, আত্মবিশ্বাসী। দেশে সব জায়গায় মানুষ হিংসা নিয়ে ভীত। আমরা সকলের কাছে আর্জি জানাই, যেভাবে বিভিন্ন স্থানে মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে বুলেটের জবাব দিয়েছেন, সেটা জারি রাখতে হবে। আমাদের মনে হয় না কোনও ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা হবে। কিন্তু, যদি হয়, সেটা ভেবে আমরা প্রথমবার, এমসিসি বাদেও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী রাখব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর আছে। যেখানে যেখানে সম্ভাবনা আছে। তাই বাংলাতেও পর্যাপ্ত মাত্রায় ভোট পরবর্তী আধাসামরিক বাহিনী থাকবে। যদিও তাঁরা রাজ্য সরকারের অধীনে থাকবেন। কারণ আইন-শৃঙ্খলা তাঁদের অধীনস্থ। আমাদের এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে রাজ্য সরকার আর এই আধাসামরিক বাহিনীর সাহায্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা রোখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে। আমরা পুরোপুরি আশস্ত যে ওঁরা তৈরি থাকবেন আর হিংসা রোখার চেষ্টা করবেন।'
এর আগে নির্বাচন কমিশনের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, বাংলায় ভোটের ফল প্রকাশের পর আরও প্রায় ২ সপ্তাহেরও বেশি এখানেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অল্প নয়, প্রায় ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকবে। ভোট-পরবর্তী হিংসা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের এক আধিকারিক জানালেন, 'প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন ১৯ জুন পর্যন্ত থাকবে।' ৪ জুন ভোটের ফলাফল বের হবে। সাধারণত ভোটের ফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যায়। এবার তা হচ্ছে না। ফল বের হওয়ার পরেও আরও ১৫ দিন এই বাংলাতেই রাখা হবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।'