Advertisement

Narendra Modi: বাংলায় ED-র উদ্ধার করা ৩০০০ কোটি টাকা গরিবদের ফেরত, বড় প্রতিশ্রুতি মোদীর

বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আর সেই টাকা এবার গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ভোট আবহে বঙ্গবাসীতে সেই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পর কৃষ্ণনগরের দলীয় প্রার্থী তথা রাজমাতা অমৃতা রায়কে এবার ফোন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই ফোনালাপে মোদী বলেন, ইডির উদ্ধার করা দুর্নীতির টাকা বিতরণ করা হবে গরিবদের মধ্যে।

বাংলার গরিব মানুষকে বড় প্রতিশ্রুতি মোদীর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Mar 2024,
  • अपडेटेड 2:25 PM IST

বাংলায় একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আর সেই টাকা এবার গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ভোট আবহে বঙ্গবাসীতে সেই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পর কৃষ্ণনগরের দলীয় প্রার্থী তথা রাজমাতা অমৃতা রায়কে এবার ফোন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই ফোনালাপে মোদী বলেন, ইডির উদ্ধার করা দুর্নীতির টাকা বিতরণ করা হবে গরিবদের মধ্যে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিজে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন যাতে এই টাকা গরিব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, বাংলায় বিবিধ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের টাকা। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে  পাঁচ মিনিট ফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, ইডির বাজেয়াপ্ত করা অর্থ গরিবদের মধ্য়ে বিতরণের চেষ্টা করবেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতাকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বাংলায় ইডি যে অর্থ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটা যাতে গরিবদের কাছে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কাজ করছেন। এ জন্য আইনি বিকল্পগুলি কী কী রয়েছে, তা দেখছেন। বিজেপি প্রার্থীকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক দিকে বিজেপি দেশে দুর্নীতিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্য দিকে, সমস্ত দুর্নীতিবাজ একে অপরকে বাঁচাতে এক হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর প্রতি  আস্থা  প্রকাশ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেবে।’’ 

প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটের আগে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ইডি, সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে সরব বিরোধীরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনরা ওই অভিযানের নেপথ্যে বিজেপির ষড়যন্ত্রের দিকেই আঙ্গুল তোলেন। তবে তাঁর জমানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে কতটা ‘কাজের’ তার খতিয়ান দিতে গিয়ে সংসদে বাংলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেইসময়ে নাম না নিলেও  নিশানা করেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডাঁই করা টাকার পাহাড়ের দিকে। 

Advertisement

 লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণে তাঁর জমানার সুশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছিল ইডির কথা। প্রধানমন্ত্রী একটি তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘‘পিএমএলএ-তে (আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন) আগের চেয়ে দ্বিগুণ মামলা করেছি আমরা। কংগ্রেসের সময় ইডি পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। আর আমাদের কার্যকালে ইডি এক লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।’’ বলেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মোদীর নির্ঘোষ ছিল, ‘‘দেশকা লুটা হুয়া মাল দেনা হি পড়েগা ।’’ সংসদে ওই কথা বলার সময় বহরমপুরের সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরই মাল ধরা পড়ে দেখা যায়, নোটের স্তূপ। টাকার পাহাড় জমে গিয়েছে। আর অধীরবাবু... আপনি তো বাংলা থেকে এসেছেন। টাকার স্তূপ দেখেছেন।’’

কৃষ্ণনগরের  বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে মঙ্গলবার ফোনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এক দিকে বিজেপি দেশে দুর্নীতিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্য দিকে, সমস্ত দুর্নীতিবাজ একে অপরকে বাঁচাতে এক হয়েছে।’’  তিনি অমৃতার ভোটপ্রচার কেমন চলছে জানতে চান। তার পর অমৃতাকে বলেন, ‘‘আপনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এবং রাজ পরিবারের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’’ সেইসময় অমৃতা রায় অনুযোগ করে বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারকে নিয়েও অপপ্রচার করছে ওরা। আমাদের ‘গদ্দার’ ভাবা হচ্ছে। আমরা এত দানধ্যান করেছি। সনাতন হিন্দু ধর্ম রক্ষা করার চেষ্টা করেছি...।’’ তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে মোদী বলেন, ‘‘আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। এই যে তিন হাজার কোটি টাকা যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেগুলো আমি গরিব এবং বঞ্চিতদের মধ্যেই বিতরণ করতে চাই।’’  প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজমাতাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা মানুষ অনেকে উলটোপালটা কথা বলবে। বদনাম করার চেষ্টা করবে। সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো কথা টেনে আনবে। বর্তমান থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করবে। অথচ এরাই আবার রামের প্রসঙ্গে বলবে, হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস! সবটাই দ্বিমুখী আচরণ বলে কটাক্ষ করেন মোদী।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement