Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে তুচ্ছ রবীন্দ্রনাথের ভাবাবেগ, ট্যুইটে সরব বিজেপি নেতা অমিতাভ

বিশ্বভারতী শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি।  অমিত মালব্যর পরে এবার এই বিষয়ে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। তিনি বললেন, প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে অবস্থান করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলায় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম রবীন্দ্রনাথ।

বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Dec 2020,
  • अपडेटेड 3:20 PM IST
  • ট্যুইটে সরব বিজেপি নেতা অমিতাভ
  • অনুষ্ঠানে না থাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ
  • আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পাল্টা তৃণমূল

বিশ্বভারতী শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি।  অমিত মালব্যর পরে এবার এই বিষয়ে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। তিনি বললেন, প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে অবস্থান করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলায় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে তুচ্ছ রবীন্দ্রনাথের ভাবাবেগ। সেই সঙ্গে একটি হ্যাশট্যাগও লেখেন তিনি। সেখানে লেখা মমতা ইনসাল্ট গুরুদেব।

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক তরজা

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঘিরেও  শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণ পৌছে গিয়েছিল চলতি মাসের ৪ তারিখই।  এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ৪ তারিখই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তাঁর কাছে কবিগুরুর সম্মানের থেকে রাজনীতিটা বড়। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতো বড় অপমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল। তাঁদের তরফে জানানো হয় এই অনুষ্ঠানের কোনও আমন্ত্রণই জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।

 

আরও পড়ুন, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় কটাক্ষ বিজেপির, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পাল্টা তৃণমূল

কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আজকের এই অনুষ্ঠানে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। গুজরাতের সঙ্গে কবিগুরুর যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  "আমি যখন কবিগুরুর বিষয়ে কথা বলি, তখন একটা কথা মনে আসে। আগের বার যখন আমি এসেছিলাম তখন আমি এটা সম্পর্কে কিছুটা বলেছিলাম। গুজরাত আর গুরুদেবের সম্পর্কের কথা আজ আমি জানাচ্ছি। এটা বারবার আমাদের ভাবা উচিত, কারণ এতে আমাদের এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত সম্পর্কেও আরও দৃঢ় করে। এটা দেখায় আলাদা ভাষা থাকলেও সব কিছু বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে জুড়ে থাকি। একে অন্যের থেকে অনেক কিছু শিখছে। কবিগুরুর বড় দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন আইসিএসে ছিলেন , তখন উনি আহমেদাবাগে নিযুক্ত হয়েছিলেন।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মধ্যেই এখানে যেতেন। ওখানে অনেকটা সময় উনি কাটিয়েছেন। আহমেদাবাদে থাকাকালীন উনি দুটি বাংলা কবিতাও লিখেছিলেন। ক্ষদিতপাষাণের একটা অংশ উনি গুজরাতে বসেই লিখেছিলেন।"

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement