বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমন্ত্রণ পৌছে গিয়েছিল চলতি মাসের ৪ তারিখই।
আরও পড়ুন, কবিগুরুর সঙ্গে গুজরাতের সম্পর্ক কতটা গভীর, বিশ্বভারতীতে আজ বোঝালেন মোদী
বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয়ে শতবর্ষ উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তিনি একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ৪ তারিখই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তাঁর কাছে কবিগুরুর সম্মানের থেকে রাজনীতিটা বড়। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এতো বড় অপমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য বাংলাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল। তাঁদের তরফে জানানো হয় এই অনুষ্ঠানের কোনও আমন্ত্রণই জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।
Visva Bharati had sent invite to WB CM on 4Dec2020.
— Amit Malviya (@amitmalviya) December 24, 2020
But for Pishi, politics is more important than the legacy of Gurudev Tagore! Never ever has a CM insulted Tagore’s Viswa Bharati like this!
Pishi is impersonation of narrow mindedness that is pushing Bengal to utter darkness! pic.twitter.com/Lf5CLyTaPT
বিশ্বভারতীতে আজ মোদীর ভাষণ
এদিন অনুষ্ঠানে গুজরাত প্রসঙ্গ মোদী বলেন, "আমি যখন কবিগুরুর বিষয়ে কথা বলি, তখন একটা কথা মনে আসে। আগের বার যখন আমি এসেছিলাম তখন আমি এটা সম্পর্কে কিছুটা বলেছিলাম। গুজরাত আর গুরুদেবের সম্পর্কের কথা আজ আমি জানাচ্ছি। এটা বারবার আমাদের ভাবা উচিত, কারণ এতে আমাদের এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত সম্পর্কেও আরও দৃঢ় করে। এটা দেখায় আলাদা ভাষা থাকলেও সব কিছু বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে জুড়ে থাকি। একে অন্যের থেকে অনেক কিছু শিখছে। কবিগুরুর বড় দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন আইসিএসে ছিলেন , তখন উনি আহমেদাবাগে নিযুক্ত হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মধ্যেই এখানে যেতেন। ওখানে অনেকটা সময় উনি কাটিয়েছেন। আহমেদাবাদে থাকাকালীন উনি দুটি বাংলা কবিতাও লিখেছিলেন। ক্ষদিত পাষাণের একটা অংশ উনি গুজরাতে বসেই লিখেছিলেন।"
গুজরাত যোগে মোদী
সেইসঙ্গে মোদী বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী যখন আহমেদাবাদে থাকতেন তখন উনি দেখেছেন মহিলারা শাড়ির আঁচল ডানদিকে রাখতেন। ফলে মহিলাদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হত। তারপরেই উনি বাকিদের বলে শাড়ির আঁচল বাঁদিকে রাখার কথা। আমার ঠিকঠাক মনে নেই, তবে উনিই সম্ভবত বাঁদিকে শাড়ির আঁচল রাখার কথা বলেছিলেন। এভাবে আমরা একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। কবিগুরু এমন ভাবনার কথাই সবাইকে বলেছিলেন।