Advertisement

রাজনৈতিক অভিসন্ধি করেই ভিক্টোরিয়ার মঞ্চ ছেড়েছিলে মমতা, দাবি রাহুলের

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। তাঁর অভিযোগ, ষড়যন্ত্রকারী মমতা নেতাজির জন্মদিবসকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র করেছেন। রাজনৈতিক অভিসন্ধি করেই তিনি সেদিন সেটা কাজে লাগিয়েছেন।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় এক কর্মসূচিতে। ছবি: সুজাতা মেহরা
সুজাতা মেহরা
  • রায়না,
  • 25 Jan 2021,
  • अपडेटेड 10:24 PM IST
  • ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা
  • তাঁর অভিযোগ, ষড়যন্ত্রকারী মমতা নেতাজির জন্মদিবসকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র করেছেন
  • রাজনৈতিক অভিসন্ধি করেই তিনি সেদিন সেটা কাজে লাগিয়েছেন

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। তাঁর অভিযোগ, ষড়যন্ত্রকারী মমতা নেতাজির জন্মদিবসকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র করেছেন। রাজনৈতিক অভিসন্ধি করেই তিনি সেদিন সেটা কাজে লাগিয়েছেন।

সোমবার পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan)এর রায়না (Rayna)-য় কেঁউটা স্কুল মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অপমানিত হয়েছেন। বাংলার বুদ্ধিজীবী, মানুষ অপমানিত হলেন।  যদি ৬ থেকে ৭ জন লোক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন আর সেটা পছন্দ যদি না-ই হয়, ওই ধ্বনির পরে বক্তৃতা দিতেই পারতেন। যখন বক্তৃতা দিতে যান, তখন তো আর কোনও জয় শ্রীরাম স্লোগান ছিল না। বক্তৃতা দিতে গিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো বলার সময় তো কেউ জয় শ্রীরাম বলে নি। তাহলে বক্তৃতা দিতে কোথায় বাধা ছিল, প্রশ্ন তাঁর।

তাঁর দাবি, আসলে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুকৌশলে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন সেদিনের মঞ্চ। রাহুল সিনহা বলেন, তিনি মনে করেন যে ষড়যন্ত্রকারী মমতা নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক অভিসন্ধি করেই  তিনি সেদিন সেটা কাজে লাগিয়েছেন। দিদির ইনশাআল্লাহ শোনার অভ্যাস। জয় শ্রীরামের বদলে ইনশাআল্লাহ  শুনলে দিদি মনে হয় খুশি হতেন। জয় শ্রী রামে দিদির এত রাগ কেন?

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে এদিন পাকিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা। বলেন, ওকে মিনি পাকিস্তানের বদলে আসল পাকিস্তানে আমরা পাঠাব চার মাস বাদে।

২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিতে উঠতেই দর্শন থেকে স্লোগান ওঠে জয় শ্রীরাম। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও বক্তব্য না রেখেই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতেই ক্ষোভ উগরে তারপর ধন্যবাদ দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি।

Advertisement

রাহুল সিনহা এদিন বলেন, কিন্তু এত কিছু করেও কাজ কিছু হবে না। কারণ এমনিতেই মমতার ওপরে দুর্গা মাতার অভিশাপ আছে। শ্রীরামচন্দ্রের অভিশাপে তৃণমূল ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এবার নেতাজির অভিশাপ ওপর থেকে তৃণমূলের উপর পড়বে। বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি সেটাই মমতার  কাজের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি আমরা।

তাঁর দাবি, যত দিদি রেগে যাচ্ছেন, ততই জয় শ্রীরামের পপুলারিটি বাড়ছে। গ্রামের সাত আট বছরের বাচ্চারাও  জয় শ্রীরাম বলছে।।  জয় শ্রীরাম এজন্য এখন জনতার স্লোগান হয়ে গেছে। জয় শ্রীরাম এখন সকলের অন্তরে আত্মা হয়ে গেছে এজন্য দিদি যত জয় শ্রীরাম শুনে রেগে যাবে ততই জয় শ্রীরাম আরো বেশি বিস্তার লাভ করবে। 

তাঁর হুঁশিয়ারি, মমতা ও ভাইপোর সময় শেষ।  ভাইপোর আর রাজনীতি করা হল না। মমতা ব্যানার্জি যে কদিন করেছেন করেছেন এরপর সন্ন্যাস নেওয়া ছাড়া, রাম নাম করা আর জয় শ্রী রাম বলা ছাড়া আর কিছু ওদের কাছে করার থাকবেনা।

ফিরহাদ হাকিমের বিজেপি মনীষীদের অপমান করছে জনতা থাপ্পড় মেরে এর জবাব দেবে কথার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ফিরহাদ হাকিম কোন মুনি ঋষিদের সম্মান দিয়েছে কবে । ফিরহাদ হাকিম কে এদিন পাকিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা।

তিনি বলেন, ফিরহাদ হাকিম একটা পাকিস্তানি। মেটিয়াবুরুজকে  মিনি পাকিস্তান বলেন। আমরা সরকারে এলে আগে ওকে পাকিস্থানে পাঠাব কিনা সেটা আগে ভাবব। তারপরে ওর মুনি ঋষির  কথা শুনবো। ফিরহাদ হাকিম থেকে মুনিঋষি শিক্ষা, ব্যাখ্যা নিতে হবে না।  যে এখানে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি ছড়াচ্ছে । যে ওখানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য মিটিংয়ে মেটিয়াবুরুজকে মিনি পাকিস্তান ডিক্লেয়ার করেছে। ওকে মিনি পাকিস্তান এর জায়গায় আসল পাকিস্তানে  আমরা পাঠাবো চার মাস বাদে। 

এরপর কলকাতায় পোড়া টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেককে কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা, বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর  বাড়ির পাশে এত টাকা কে জ্বালাল, কেন জ্বালাল, এ ঘটনা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। তিনি বলেন এই টাকার সাথে কত কাল টাকার কাহিনি যুক্ত আছে কার ভয়ে কিসের কারণে কাদের থেকে বাঁচতে টাকা পোড়ানো হয়েছে তার কোনও নিরপেক্ষ এজেন্সি যে দিয়ে তদন্ত করার দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ইডি সিবিআই না অন্য কোনও ভয়ে রাতারাতি আদি গঙ্গার পাড়ে পোড়ানো হলো টাকা। ওই এলাকার লোকের তো এতো পরিমাণ টাকা নেই । ওই এলাকায় তো সব টালির বাড়ি। একটাই রাজবাড়ি, তা ভাইপোর। তাহলে এত টাকা কোথা থেকে এলো তার নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement