Advertisement

প্রথম সভায় কী বললেন BJP-র শুভেন্দু অধিকারী? তৃণমূল-মমতাকে বিঁধলেন একযোগে

সদ্য কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পূর্বস্থলীতে প্রথম সভা ছিল তাঁর। সেই সভা থেকে পুরনো দল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে সভার শেষে প্রথমবার শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিও। এই সভাতে শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Aajtak Bangla
  • পূর্বস্থলী,
  • 22 Dec 2020,
  • अपडेटेड 4:45 PM IST
  • পূর্বস্থলীতে সভা শুভেন্দু অধিকারীর
  • তৃণমূলকে একের পর এক কটাক্ষ
  • সভায় উপস্থিত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও

সদ্য কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন পূর্বস্থলীতে প্রথম সভা ছিল তাঁর। সেই সভা থেকে পুরনো দল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে সভার শেষে প্রথমবার শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিও। এই সভাতে শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কী বললেন শুভেন্দু

এদিন সভায় শুভেন্দু বলেন, "দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপি। অমিত শাহের উপস্থিতিতে আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি আগের দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে, একজন সাধারণ ভোটার হিসাবে এই রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি। আমাকে যারা বিশ্বাসঘাতক বলছেন, তাদের বলি ১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে পরবর্তী কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা জোটে ছিলেন। সেই সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আডবানি আশ্রয় না দিলে এই দলের কী হত।  সেই সময়ে বিজেপির আশ্রয় না পেলে তৃণমূল দলটাই উঠে যেত। ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে এনডিএ প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলাম।"

আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় শুভেন্দু, পেলেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি

তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন,  "২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম গণহত্যার সময়ে সেইসময়ে লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংরা এসেছিলেন। ৬২ দিন সংসদ অচল করে কেউ যদি নন্দীগ্রাম আলোচনার পর্যায়ে নিয়ে যায়, সেই দলটির নাম বিজেপি। তোলবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাও। অমিত শাহ টাইট দেওয়ার পরে কয়লাপাচার-গরুপাচার বন্ধ হয়েছে।  আমরা ক্ষমতায় এলে  কিডনি পাচার বন্ধ করব। আমি এই দলে প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা ধরে রাখব। হারাবই ওদের হারাবই, আমরা জিতব। ১৪ সাল থেকে এসএসসি বন্ধ, টেট কেলেঙ্কারি, গোটা বাংলায় চলছে কেলেঙ্কারি। তৃণমূল নেত্রীকে বলব কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছিলেন। পরে ২০১১ সালে তাঁদেরই হাত ধরেছে। পরিবর্তনে আরও একটা পরিবর্তন চাই। কলকাতা-দিল্লিতে একই দলের সরকার চাই। দুয়ারে সরকার নয়, যমের দুয়ার সরকার চলছে।"

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement