সবংয়ের সভা থেকে ফের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন তৃণমূলের উদ্দেশ্যে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও।
তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
এদিন শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল নেতারা গিয়ে বলছে শুভেন্দু অধিকারী নাকি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে তৃণমূলের সঙ্গে। আমি সব সভাতে গিয়ে বলি এই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বময় কর্ত্রীকে পরিচিতি দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। তিনি ১৯৯৮ সালে পয়লা জানুয়ারি কংগ্রেস ছেড়ে আলাদা দল গঠন করেছিলেন। তাদের মুখে এখন শুনতে হবে আমি বিশ্বাস ঘাতক। তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আডবানি। পরে বিজেপির হাত ছেড়ে তৃণমূল আবার কংগ্রেসের হাত ধরেছিল। এদের মুখ সার্টিফিকেট শুনতে হবে। গডসের পার্টির যদি রাজনাথ সিং না আসত তাহলে তোমার অনশন ভাঙত কে। অতীত যে ভুলে যায় তার ভবিষ্যত ভালো হতে পারে না। শুভেন্দু অধিকারী তাই এই ফুটো নৌকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। যে ফুটো নৌকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, 'বাজপেয়ী দরজা না খুললে, আপনাদের ঘাসফুলটাই তো উড়ে যেত,' কটাক্ষ শুভেন্দুর
কী বললেন শুভেন্দু
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "ওরা বলছে আমি আঞ্চলিক দল করিনি কেন। আঞ্চলিক দল করে যদি কিছু ভোট আমি কাটতাম, তাহলে তোমাদের সুবিধা হত। আমি সেই ফাঁদে পা দিইনি। আমার পরে আমার ভাইপো হত সেই দলের মালিক। আমি তাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছি। এই তৃণমূল কংগ্রেস আম্ফান টাকা চোর, ১০০দিনে টাকা চোর, কাটমানির দল। এখন কিষাণ বিধি চালু করা হয়েছে। কৃষক মোর্চায় রাস্তায় নামতে হবে, সব বকেয়া টাকা ফিরিয়ে নিতে হবে। সবংয়ের চিটফান্ডে টাকা মারা নেতা ২০১৬ সালে সূর্যবাবুকে নারায়ণগড়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আপনার ছবি সবাই দেখেছেন। ২০০৯ সালে হাতে জুতো নিয়ে ধুতি গুটিয়ে ছুটছিলেন মঙ্গলকোটের মাঠে। সেদিন ফোনে বলছিলেন বুদ্ধদা বাঁচান। ২১শের সবংয়ে পদ্মফুল ফোটাবে। কলকাতা ও দিল্লিতে একই দলের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পরশু নন্দীগ্রামে লক্ষ মানুষের সমাগম করব। লক্ষণ শেঠ, কিষেণজিদের সোজা করা লোক আমরা। কোন অসুখে কোন ওষুধ দিতে হয় আমরা জানি।