গড়বেতায় ছোট আঙারিয়া দিবসে তৃণমূলকে ফের কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এইদিন সভাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে টেনে এনে বিঁধলেন তৃণমূলকে।
তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর
এদিন দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, "এখান থেকে কিছু দূরে একঝুঁড়ি লোক নিয়ে একটা সভা হচ্ছে। আর এখানে দুটো ফুটবল মাঠ নিয়ে একটা সভা হচ্ছে। ২৩ তারিখে ওরা একটি কাঁথিতে মিছিল করল। আমরা দিয়ে ছক্কা হাকালাম। ১০ নভেম্বর সকালে নন্দীগ্রামে আমি ১ লাখ লোক নিয়ে একটা সভা করেছিলাম। পরে মিনি পাকিস্তান মন্ত্রী ১২০০ লোক নিয়ে একটি সভা করেন। আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এদের পায়ে কাঁটা ফুটে গেছে। ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় ২৯ মিনিট আমার বিরুদ্ধে। ওরা বলছে, মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক আমি গডসের দলে গেছি। আমি বলছে চাই সেইসময় ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ি যদি সেইদিন দরজা না খুলে দিতেন, তাহলে আপনার দলে ঘাসটাই উড়ে চলে যেত। বিজেপি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০০৬ সালে ওনার অনশন ভাঙার জন্য কেউই আসেনি, এসেছিলেন রাজনাথ সিং। তার শরবৎ খেয়ে অনশন ভেঙেছিলেন তিনি।"
আরও পড়ুন, 'পিসি ভাইপোর কোম্পানি অপমান করেছে, ২০২১-এ বদলা নিতে হবে', আক্রমণ শুভেন্দুর
নিশানা তৃণমূলকে
সেইসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে না দিলে, এই রাজ্য এগোতে পারবে না। এরা বলে শুভেন্দুর সঙ্গে নাকি বিজেপির ডিল হয়েছে। হ্যাঁ ডিল হয়েছে তো ! সেগুলো প্রতি বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হবে। টেটের পরীক্ষা হবে। বেকাররা চাকরি পাবে। এলাকার আলুচাষীদের সর্বনাশ করেছে তৃণমূল। সাড়ে ৯ বছর পরে চালু হয়েছে যমের দুয়ারে সরকার। এটা ঢপবাজি, ঢপের চপ। ১৯ হাফ হয়েছে, ২১ শে পুরো সাফ হয়েছে। ৪০ টা দফতরের মধ্যে ৩০টাই হরিশ চ্যাটার্জী স্টিটের হাতে। ২২টা সাংসদের ১১টা সাংসদ ওদের হাতে। এসব আর চলবে না।" প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই এর আগেও একাধিক সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিটি সভাতেই তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করেছেন তৃণমূলকে।