চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে প্রথম দফার ভোট শুরু হতে চলেছে। তারপরেই পয়লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তাই এখন রাজ্যে ভোট প্রচার চলছে জোরকদমে। প্রতি সপ্তাহেই একাধিকবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। বাদ যাচ্ছেন না স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে রোড শো করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তার মাঝেই আজতকের সঙ্গে একান্তে কথাও বললেন অমিত শাহ। সেখানেই মারাত্মক এক দাবি করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে চোট লাগার ঘটনায় মেডিক্যাল রিপোর্ট সকলের সামনে আনতে বললেন শাহ।
মেদিনীপুরে রোড শো চলাকালীন হাজার ব্যস্ততার মাঝেই আজতাকের জন্য আলাদা করে সময় বার করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেই বিশেষ আলাপচারিতায় শাহ বলেন, জনগণের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতেই 'সঙ্কল্প পত্র' তৈরি করা হয়েছে। সারা দেশের মানুষই বিজেপির 'সঙ্কল্প পত্র'কে গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করে থাকেন। আমরা অনুপ্রবেশ মুক্ত বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলার গড়ার কথা বলেছি। মহিলা সুরক্ষায় জোর দিয়েছি। আমরা সোনার বাংলা তৈরির কল্পনা করেছি। তিনি বলেছিলেন যে বাংলার মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।
বাংলার মানুষ নতুন করে পরিবর্তনের জন্য তৈরি। তাই একুশের নির্বাচনে ২০০ বেশি আসন পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমন দাবিই করছেন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ।
সিএএ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন যে আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি। বাংলায় এবং সারা দেশে যে কোটি কোটি শরণার্থী রয়েছেন তাদের বিজেপি সরকার নাগরিকত্বের সম্মান দেবে। এটা আমাদের বিজেপি সরকারের সমস্ত শরণার্থীদের প্রতি অটুট প্রতিশ্রুতি।
নন্দীগ্রামের যুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করার প্রশ্নে শাহ বলেন যে এত লোক যদি বহিরাগত হয় তবে আমি মমতাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে তিনি এখনও স্বপ্নের জগতে বাস করছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর সঙ্গেই যোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গে জয়ের ব্যাপারে তাঁর সম্পূর্ণ আস্থাশী। সেই সঙ্গে ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'বাংলার ছেলেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।'
এদিকে পুরুলিয়ার জনসভায় ফের একবার নিজের আঘাতের কথা বলে বিজেপির দিকে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, মমতার নিজের মেজিক্যাল রিপোর্ট জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত। এদিকে চোট নিয়ে প্রচারে মমতার রাজনৈতিক ফায়দা হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এমন কিছু তার মনে হয় না।
চোট নিয়ে মমতা রাজনৈতিক সুবিধা পাবেন কিনা সে বিষয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন যে আমি তা ভাবি না।এদিন সুন্দরবনের গোসাবায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন শাহ। সেই কথা মনে কিরয়ে তিনি বলেন, যেভাবে ছোট্ট একটা দ্বীপে ৪০ হাজার মানুষ রোদ-গরমের মধ্যে বিজেপির জনসভায় এসেছিলেন তাতে মনে হয় না মমতা নাটক করে কিছু করতে পারবেন। ছোট ছোট জায়গায় প্রচুর মানুষ বিজেপির জনসভায় স্বতস্ফূর্ত ভাবে আসছেন। কারণ বাংলায় এবার প্রকৃত পরিবর্তন আসতে চলেছে।