দিল্লি সীমান্তের কৃষক আন্দোলনের আঁচ বাংলার ভোটে। সেখানকার কৃষক নেতারা এ রাজ্য়ের কৃষকদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দেবেন। আর আর্জি জানাবেন, বিজেপিকে ভোট নয়। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে অখিল ভারতীয় কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি)।
তিন কৃষি আইন বাতিলে দাবিতে ১০০ দিনের বেশি দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকেরা। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তবে রফাসূত্র মেলেনি। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গণসংগঠন।
বিজেপি কৃষক, খেতমজুর ও গরিববিরোধী। তাই তাদের ভোট নয়। গ্রাম বাংলার কৃষকদের কাছে এই আবেদন করবেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রথম সারির নেতৃত্ব। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিঠি দেবেন। তাঁরা প্রচারে কলকাতায় আসবেন বলেও খবর।
কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষে জানানো হয়েছে, তিন মাস ধরে চলা দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনের নেতৃত্ব বাংলায় প্রচারে আসছেন। এআইকেএসসিসি ও অন্যান্য সংগঠন কৃষক আন্দোলনের যৌথ মঞ্চে সংযুক্ত কিষান।
মোর্চা নেতৃত্ব সম্প্রতি ঠিক করেছেন যে আগামীদিনে দেশের সব রাজ্যে প্রচার সংগঠিত করে বিজেপির কৃষক, খেতমজুর ও গরিববিরোধী নীতির কথা মানুষের সামনে তুলে ধরবেন।
যে সব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে, সে সব রাজ্যে গিয়ে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন করবেন। কিন্তু অরাজনৈতিক এই মঞ্চের পক্ষ থেকে কোনও বিশেষ দলকে সমর্থন করা বা ভোট দেওয়ার জন্য জনতার কাছে আবেদন জানানো হবে না।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ মার্চ কলকাতায় প্রচারে আসবেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রথম সারির নেতারা। আসতে চলেছেন যোগেন্দ্র যাদব, হান্নান মোল্লা, বলবীর সিং রাজেওাল, জগিন্দার উগ্রাহান, গুরনাম সিং চাডুনি, দর্শন পাল, অভীক সাহারা।
কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েতের মাধ্যমে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্ব দেশের কৃষকদের এই বার্তা বাংলার কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেবেন - 'বিজেপি চরম কৃষক, খেতমজুর ও গরীব বিরোধী। এই দল কৃষক-মজুর আন্দোলনকে ক্রমাগত আক্রমণ, হেনস্থা ও অপমান করছে। যাতে কৃষিক্ষেত্রে বড় বড় কোম্পানি প্রবেশ করে কৃষকদের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করতে পারে। অতএব এই বিজেপিকে বাংলার কৃষক যেন ভোট না দেন।'
অভীক সাহা জানান, কৃষিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে চিঠি। বিজেপি কৃষকদের জন্য কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে, তা জানাব। তারপর তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত।