Advertisement

খুন হতে পারেন শুভেন্দু! আশঙ্কায় রাজপালের কাছে যাবেন অনুগামীরা

কোন পথে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, তা ঘিরে জল্পনা অব্যাহত। এমন অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁর অনুগামীরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পাণ্ডা। এমনটাই দাবি করেছে বাংলার বেশ কিছু সাংবাদমাধ্যম।

শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে জল্পনা। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Dec 2020,
  • अपडेटेड 9:30 PM IST
  • শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে অনুগামীরা
  • রাজ্যপালের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত
  • এখনও শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা অব্যাহত

কোন পথে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, তা ঘিরে জল্পনা অব্যাহত। এমন অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁর অনুগামীরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পাণ্ডা। এমনটাই দাবি করেছে বাংলার বেশ কিছু সাংবাদমাধ্যম।

শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা অনুগামীদের

কনিষ্ক পাণ্ডা এদিন জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। ইতিমধ্যে তাঁরা একটি বৈঠক করেছেন এবিষয়ে। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় নিরাপত্তা অভাব রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এমন অবস্থায় রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হবে শুভেন্দুর অনুগামীদের তরফ থেকে। সেখানে রাজ্যপালকে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার কথা বলে নিরাপত্তার কথা চাওয়া হবে। 

আরও পড়ুন, মেদিনীপুরে মমতা, জল্পনা জিইয়ে কলকাতায় শুভেন্দু

শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা

শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক থামছে না। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যে অনেকটাই হয়ে গিয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে। এমনকি ওই সভামঞ্চ থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের মুখে দর কষাকষি ও ব্ল্যাকমেল এসব চলবে না। গত একমাস ধরেই রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল এই নেতার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নজরে আসছিল শুভেন্দুর সমর্থনে লেখা পোস্টারও। সেই পোস্টারে জায়গা পায়নি তৃণমূল শব্দটিও। তখনই বেশ কিছু অরাজনৈতিক সভায় দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই সভাগুলিতে তৃণমূলের নাম কিংবা প্রতীক ব্যবহার হয়নি। এমন অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রথমে দুটি বৈঠকও করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু প্রথম দুটি বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র সামনে আসেনি। এমন অবস্থায় এক পা এগিয়ে শুভেন্দুকে বিজেপিতে আসার জন্য স্বাগত জানান দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের ছোট-বড় নেতারা। ফলে প্রবল চাপ বাড়তে থাকে রাজ্যের শাসকদলের উপর। কয়েকদিনের মধ্যে মন্ত্রিত্বও ছেড়ে দেন শুভেন্দু। জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। 

Advertisement

কোন পথে শুভেন্দু ?

এর ঠিক কয়েকদিন মধ্যে কলকাতায় তৃতীয় একটি বৈঠক হয় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। ওই বৈঠকে সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত ছিলেন। পরে সৌগত রায়ের তরফে জানানো হয়, ওই বৈঠকের সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। বৈঠক ইতিবাচক। কিন্তু তার কয়েকঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দু হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে জানিয়ে দেন বৈঠকের জেরে তিনি অসন্তুষ্ট। শুভেন্দু সেই বার্তায় বলেন, ‘আমার বক্তব্যের এখনও সমাধান হয়নি। সেই সমাধান না করেই আমার ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল। আমাকে মাফ করবেন।’এমন অবস্থায় শুভেন্দু কোন শিবিরে যাবেন তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত রাজ্য রাজনীতিতে। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement