উত্তরকন্যা অভিযানে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃত্যুর ঘটনাায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি আদালত। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরো বিষয়টি ডিভিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময়ে একজন বাড়ির লোক ও তিন জন বিশেষ চিকিৎসককেও থাকতে হবে। আগামী তিন দিন অর্থাৎ ১০ তারিখের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী দাবি পুলিশের
ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে মুকুল রায়। প্রত্যেকেরই এক সুর পুলিশের দিক থেকে ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কর্মীর। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে প্রথমে দাবি করা হয়, "ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শটগানের আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ আছে। পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। এটা স্পষ্ট যে শিলিগুড়িতে গতকালের প্রতিবাদের সময় সশস্ত্র ব্যক্তিদের আনা হয়েছিল এবং তারা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মৃতের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো ব্যক্তির শটগান থেকে চালানো গুলির প্যালেট আঘাত পেয়েছিল নিহত ব্যক্তি ।এটি নজিরবিহীন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের আনা এবং তাদের গুলি চালাতে উস্কে দেওয়া শোনা যায় না। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হিংসা ছাড়ানোর দুরভিসন্ধি ছিল। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সত্য প্রকাশিত হবে এবং যারা জঘন্য অপরাধের পরিকল্পনা এবং সেটা কার্যকর করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, ছররাগুলি পুলিশ ব্যবহার করে না, বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে পাল্টা মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর তোপ
এদিন পশ্চিম বর্ধমান থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, বিজেপি নিজেই মিছিল করে, নিজেই লোক মারে। পুলিশ তো ওই বন্দুক ব্যবহারই করে না। ছররা দিয়ে তুমি লোক মারতে এনেছ। যদিও নিজের দাবিতে অনড় ছিল গেরুয়া শিবির। জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদও এবিষয়ে সোচ্চার হন। এদিন আদালতের নির্দেশের ফলে দ্বিতীয়বার ওই বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ১০ তারিখের মধ্যে।