সোমবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। একসময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেই কার্যত মণিরুলকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপি শিবির দুই ভাগ হয়ে যায়। তারপর থেকে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি মণিরুলকে। এমন অবস্থায় আচমকা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মণিরুলেই এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।
কী বললেন মণিরুল
সোমবার সকালে ইকো পার্কে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এসে দেখা করেন মণিরুল ইসলাম। তারপর তিনি বলেন, "দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। তবে সেটা প্রকাশ করতে পারব না। ২০১৯ সালের ২৯ মে আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বদলে গুণ্ডা করে তুলেছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আপনি যদি কোনও জেলে যান, সেখানে দেখবেন সংখ্যালঘু কমবয়সী ছেলেরাই বেশি। এদের সবাইকে গাঁজা কেস গিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। সংখ্যালঘুরা এটা বুঝতে পারছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করা হবে।"
আরও পড়ুন, শোভনের টার্গেট অভিষেক! আজ ডায়মন্ড হারবারে শোভন-বৈশাখীর ব়্যালি
মণিরুলকে ঘিরে বিতর্ক
প্রসঙ্গত, লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলামকে ঘিরে বিভিন্ন বিতর্ক উঠেছে। একসময়ে ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের আগেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। ২০১৯ সালে মে মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূলে থাকার সময়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল মণিরুলের বিরুদ্ধে। এমন একজন নেতাকে নেওয়ায় দলের ভাবমুর্তি ক্ষুগ্ন হবে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি একাংশ নেতারা। মণিরুলকে ঘিরে কার্যত দুটো শিবির হয়ে যায় বিজেপিতে। তারপর থেকে আর মণিরুল ইসলামকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। গত বছর রাজনীতিতেও তেমনভাবে সক্রিয়ও ছিলেন না তিনি।
শুরু জল্পনা
আর মাত্র কয়েকমাস বাকি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। আচমকা তার আগে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মণিরুলের সাক্ষাতের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা ভোটের আগে মণিরুল কি সক্রিয় হচ্ছেন বিজেপি শিবিরে? আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই চিত্রটা স্পষ্ট হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।