একসময় মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। তারপর তিনি দলবদল করেন। এখন একুশের ভোট যুদ্ধে বিজেপির অন্যতম সেনাপতি তিনি। আর সেই শুভেন্দুকেই মুর্শিদাবাদে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি মুর্শিদাবাদের ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে অন্তত ৫-৭টি আসন পাবে তারা। এই আসনগুলির মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বড়ঞা, খড়গ্রাম, কান্দি ও বহরমপুর। এই সবকটি আসনে প্রচারের কাজে লাগানো হয়েছে শুভেন্দুকে। গতকাল কান্দির প্রার্থী গৌতম রায়ের সমর্থনে জনসভাও করেন তিনি। পাশাপাশি বড়ঞা ও খড়গ্রাম বিধানসভা এলাকাতেও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেন। সেই সভাগুলি থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে। মুর্শিদাবাদে গোরু পাচার, তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্য সভা থেকে খোঁচা দেন তিনি। আক্রমণ করতে বাদ রাখেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। তৃণমূলের বিধায়কদের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলেও আক্রমণ শানান তিনি।
আরও পড়ুন : Corona Updates : কাল থেকে টানা ১৪ দিন লকডাউন কর্ণাটকে
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আর পাঁচটা জেলার মতো মুর্শিদাবাদে 'ভালো' ফল করার জায়গায় নেই বিজেপি। তাই এক সময়ের তৃণমূলের শুভেন্দুকে এজেলায় তাস হিসেবে ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির। কারণ, এই জেলার রাজনৈতিক সমীকরণ দিলীপ ঘোষদের থেকে তিনি অনেক ভালো বোঝেন।
আরও পড়ুন : নাক-ঢাকা, মুখ খোলা! মিঠুনের মাস্ককে 'ডিস্কো ডান্সার মাস্ক' কটাক্ষ TMC-র
শুভেন্দুর প্রচার মুর্শিদাবাদে বিজেপির পক্ষে ভালো করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছে জেলা নেতৃত্ব। যেখানে গতকাল সভা করেছেন শুভেন্দু সেই কান্দি টাউনের বিজেপি নেত্রী বিনীতা রায় বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী দলের নির্দেশে জেলায় এসেছিলেন। তিনি মণ্ডল সভাপতি ও তৃণমূলস্তরের কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। আমাদের উনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই মোতাবেক কাজ করব।'
তবে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শুভেন্দুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, 'শুভেন্দু তৃণমূলে ছিল বলে এই জেলায় তাঁকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেত্রী। এখন উনি বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁর এই জেলায় আসা-যাওয়া নিয়ে একদমই আমরা চিন্তিত নই।'