নন্দীগ্রামের সভা থেকে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। এর ঠিক কিছুক্ষণ বাদেই রাতেই ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, "স্বাগতম দিদি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। এবার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি দেখা হবে।" প্রসঙ্গত, বিজেপিতে আসার আগে শুভেন্দুই ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে তিনি বিধায়ক পদ ও মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এদিনের ট্যুইটে একপ্রকার পুরনো দলনেত্রীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু।
কী বলেছিলেন মমতা
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের সভা থেকে বলেন, তৃণমূল এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সব আসনে জিতবে। আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। ভাবছিলাম একটু ইচ্ছা হল। এটা আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি হয়তো ভোটের সময়ে বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমাকে দেখতে হয়। কিন্তু আপনারা সেটা করে নেবেন। পরে যা কাজ আমি সব করে দেবো। এমন দল কোথাও দেখেছেন, ভালোবাসার টানে প্রার্থী হচ্ছে। ভবানীপুরকেও অবহেলা করছি না। সেখানে ভালো প্রার্থী দেবো। আমার বিবেক আমাকে বলেছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার সবথেকে লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র-পূর্ণ জায়গা।
আরও পড়ুন, হাফ লাখ ভোটে মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ, না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন শুভেন্দু
মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
পরে দক্ষিণ কলকাতা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, " আপনি সভা থেকে বলেছেন নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন। এটা আপনার পার্টিতেই হতে পারে। আপনি আর আপনার ভাইপো কোনও কোম্পানির মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সেটা পারে না। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা শৃঙ্খলাপরায়ণ পার্টি , এটা একটা অনুশাসিত পার্টি। এই পার্টিতে কোনও সভায় দাঁড়িয়ে কে কোথায় দাঁড়াবেন তা বলা যায় না। এটাই আপনার কোম্পানির সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির তফাত। তবে আমি আপনাকে কথা দিতে পারি নন্দীগ্রামে মাননীয়া দাঁড়ান,পদ্মফুল নিয়ে পার্টি আমাকে বা অন্য় কাউকে যাকেই দিক না কেন। আজ সন্ধ্য়ের সময় দিয়ে লিখে রাখুন-হাফ লাখ ভোটে যদি মাননীয়াকে হারাতে নাা পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা হিসাবে মঙ্গলবার খেজুড়িতে সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে শুভেন্দু কী বলেন, সেই দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।