দুপুরে তেখালির সভা থেকে নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী (TMC)। সন্ধ্য়ে হতেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। হাফ লাখ ভোটে মমতাকে না হারালে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, " আপনি সভা থেকে বলেছেন নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন। এটা আপনার পার্টিতেই হতে পারে। আপনি আর আপনার ভাইপো কোনও কোম্পানির মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সেটা পারে না। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা শৃঙ্খলাপরায়ণ পার্টি , এটা একটা অনুশাসিত পার্টি। এই পার্টিতে কোনও সভায় দাঁড়িয়ে কে কোথায় দাঁড়াবেন তা বলা যায় না। এটাই আপনার কোম্পানির সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির তফাত। তবে আমি আপনাকে কথা দিতে পারি নন্দীগ্রামে মাননীয়া দাঁড়ান,পদ্মফুল নিয়ে পার্টি আমাকে বা অন্য় কাউকে যাকেই দিক না কেন। আজ সন্ধ্য়ের সময় দিয়ে লিখে রাখুন-হাফ লাখ ভোটে যদি মাননীয়াকে হারাতে নাা পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। "
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকেই দলের প্রাথী ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূল এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সব আসনে জিতবে। আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। ভাবছিলাম একটু ইচ্ছা হল। এটা আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি হয়তো ভোটের সময়ে বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমাকে দেখতে হয়। কিন্তু আপনারা সেটা করে নেবেন। পরে যা কাজ আমি সব করে দেবো। এমন দল কোথাও দেখেছেন, ভালোবাসার টানে প্রার্থী হচ্ছে। ভবানীপুরকেও অবহেলা করছি না। সেখানে ভালো প্রার্থী দেবো। আমার বিবেক আমাকে বলেছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার সবথেকে লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র-পূর্ণ জায়গা।
রাজ্য় রাজনীতির ইতিহাস বলছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের দিকে নজর থাকছে সবার। প্রথম থেকেই বাম-কংগ্রেসের ভোটারদের নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পিছিয়ে থাকেনি বিজেপি। কদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা যায়, একই কথা। দলে থেকেই বাম-কংগ্রেস ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, শাসক দলকে রোখার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপিরই আছে। ভোট কাটাকাটির খেলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে সুবিধা যেন না পায়, সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি।