Advertisement

লক্ষ্য মমতার পরিবার, কালীঘাটে শুভেন্দুর 'পদ্মফুল' কি কার্তিক ?

নিজের বাড়িতে 'পদ্ম ফুটিয়েছেন' আগেই। এবার কালীঘাটে 'পদ্ম ফোটানোর' চ্যালেঞ্জ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের নিশানায় এবার মমতার পরিবার ?

মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Jan 2021,
  • अपडेटेड 11:21 AM IST
  • নিজের বাড়িতে 'পদ্ম ফুটিয়েছেন' আগেই।
  • এবার কালীঘাটে 'পদ্ম ফোটানোর' চ্যালেঞ্জ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
  • তবে কি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের নিশানায় এবার মমতার পরিবার ?

নিজের বাড়িতে 'পদ্ম ফুটিয়েছেন' আগেই। এবার কালীঘাটে 'পদ্ম ফোটানোর' চ্যালেঞ্জ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের নিশানায় এবার মমতার পরিবার ? 

শান্তিকুঞ্জে শুভেন্দুর হাত ধরে ইতিমধ্য়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য় সরকার। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। পরবর্তীকালে শিশির অধিকারীকেও জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য় রাজনীতির হাওয়া মোরগ বলছে, আগামী দিনে ছেলের পথেই হাঁটতে পারেন বাবা। বাদ যাবেন না শুভেন্দুর আরও এক বিধায়ক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তমলুকের সভা থেকে নিজেই সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমানে রাজ্য় বিজেপির অন্য়তম কান্ডারি। পাশাপাশি কালীঘাটেও পদ্ম ফোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সোমাবার তমলুকের সভায় শুভেন্দু বলেন,''মাননীয় তোলাবাজ ভাইপো,আমার বাড়িতে পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। বাকি ২৪ এপ্রিল রামনবমী আছে, তার আগেই সব পদ্ম ফুটে যাবে। আর ১৬ ফেব্রুয়ারির পরে আমি আপনার বাড়িতেও পদ্ম ফুটাইব।'' তবে এই প্রথমবার নয়,অতীতেও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে এমনটাই বলেছিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র।

প্রশ্ন উঠছে,মমতার পরিবার থেকে ভাঙিয়ে কাকে বিজেপিতে আনতে পারেন শুভেন্দু ? রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গেরুয়া ব্রিগেডে নাম লেখাতে পারেন মমতার ভাই  কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ইতিমধ্য়েই বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন তিনি। প্রতি বছরই স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তীতে 'বিবেক' নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের অনুষ্ঠান করেন কার্তিক। সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,''মুখে দেশের দশের কথা বলব, আর সুযোগা সুবিধা দেব নিজের পরিবারকে। এটাই এখনদেশের রাজনীতি।" তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্য়মন্ত্রীর ভাইয়ের মুখে এরকম কথা শুনে অবাক হন অনেকেই। এমনকী তাঁর এই কথায় দলের মধ্য়েই বিক্ষুদ্ধের তালিকায় নাম উঠে যায় কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। এখানেই থেমে থাকেননি কার্তিকবাবু। তাঁর আরও একটি মন্তব্য় বিজেপি যাত্রার জল্পনা উস্কে দেয়। যেখানে তিনি বলেন, ''আগামীদিনে কী হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। আমি কালকে কী করব, তা আমি নিজেও জানি না।''

Advertisement

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের গলায় বেসুরো কথা শুনে মুখ খুলেছে তৃণমূল। দলের বরীষ্ঠ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, কার্তিক কোনওদিনই দলের কেউ নয়। কোনও পদে নেই। বা বিধায়কও নন। যদিও দলের ফ্রন্টাল সংগঠন আজাদ হিন্দ বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্যায়। কালীঘাটের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়,কার্তিকের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক বেশ ভালো। এমনকী দল ছাড়ার পরও তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। গত বছরই কার্তিকের বিবেক দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই তিনি যখন কালীঘাটে বা অভিষেকের বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর কথা বলেন, তখন কার্তিকের দিকেই নজর যায়।


Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement