এরাজ্যে বিধানসভা ভোটে তিন ভাগে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই কর্মী অসন্তোষে জেরবার ভারতীয় জনতা পার্টি। কোথাও ভাঙা হচ্ছে পার্টি অফিস, কোথাও ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। বাদ যাচ্ছেন না বিজেপি নেতারাও। তাদের ছবিতেও হামলা চালান হচ্ছে। আর এই আবহেই রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনী আবহে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙা ও অশোকনগরে তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে। কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের আঁচ ভাবাচ্ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও। শেষপর্যন্ত এই দুটি কেন্দ্রেই প্রার্থী বদল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থী বদল করা হোল নদিয়ার কল্যাণী এবং বীরভূমের দুবরাজপুর আসনেও।
তৃণমূলের নতুন প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী কল্যাণীতে দলের প্রার্থী হচ্ছেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, অশোকনগরে নারায়ণ গোস্বামী , আমডাঙায় রফিকূর রহমান এবং দুবরাজপুরে দেবব্রত সাহা।
চার কেন্দ্রে প্রার্থী বদল
কল্যাণী, অশোকনগর, আমডাঙা এবং দুবরাজপুর এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করল তৃণমূল। এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে চরমে উঠেছিল অসন্তোষ। উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দু'বারের বিজয়ী প্রার্থী রফিকূর রহমান। কিন্তু তাকে এবার প্রথমে টিকিট দেয়নি দল। তার বদলে প্রার্থী করা হয়েছিল বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী চিকিৎসক মোরতাজা হোসেনকে। এরপরেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। দাবি ওঠে রফিকূরকেই প্রার্থী করতে হবে। এদিকে খোদ অনুব্রত মন্ডল দুবরাজপুরের প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে অশোকনগরে গত দু'বারের বিধায়ক ধীমান রায়কে ফের প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। ধীমান রায়ের দেখা পাওয়া যায় না বলেই দাবি ছিল তৃণমূল কর্মীদের। সেই কারণে প্রার্থী বদলের পোস্টারও পড়ে এলাকায়। এরপরেই এই চার কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করা হল। কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস তার জায়া প্রার্থী হলেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। অশোকনগরে ধীমান রায়ের বদলে প্রার্থী হলেন নারায়ণ গোস্বামী। আমাডাঙাতেও শেষপর্ন্ত প্রার্থী করা হল রফিকূর রহমানকে। দুবরাজপুরের নতুন প্রার্থী হলেন দেবব্রত বিশ্বাস। আগে প্রার্থী করা হয়েছিল অসীমা ধীবরকে।
বিক্ষোভের প্রভাব পড়তে পারে ভোটবাক্সে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই কারণে কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি মেনে তৃণমূলনেত্রী এবার প্রার্থী তালিকায় বদল আনলেন। এমন জল্পনা কিন্তু উঠে গেল।