১৪৮ আসনে বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুমুল। এবশেষে ধাপে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছে বিজেপি। এদিকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত উত্তর হোক বা দক্ষিণ বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের খবর আসতে শুরু করেছে। না পসন্দ প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। যা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই আবহে একেবারে ভিন্ন ছবি দেখা গেল হাওয়ার বালি বিধানসভায়। এখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিদায়ী সাংসদ বৈশালী ডালমিয়াকে। তার নাম ঘোষণার পরেই বালির বিজেপি কর্মীরা বৈশালীকে সাদরে বরণ করে নেন।
প্রার্থী হিসাবে বিজেপি তার নাম ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাতে নিজের কেন্দ্র বালি বিধানসভায় আসেন বৈশালী। সেখানেই নবনির্মিত বিজেপি পার্টি অফিসে তাঁকে সাদরে বরণ করে নেন বালির স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। ঢাক ঢোল বাজিয়ে ফুলের মালা দিয়ে,আবির উড়িয়ে চলে বৈশালীকে বরণ করা। এলাকায় একটা মিছিল করে তিনি বেলুড়ের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজোও দেন রাতে। বিজেপির হয়ে প্রার্থী হতে পেরে তিনি খুশি বলে জানান বৈশালী। তাঁকে যে প্রার্থী করা হয়েছে সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাংলার সমস্ত বিজেপি নেতাদের তিনি ধন্যবাদও জানান।
বালিতে অসমাপ্ত কাজ শেষ করব : বৈশালী
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে বালি থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন প্রথমবার ভোটে দাঁড়ানো বৈশালী। এবার শিবির বদলেছেন তিনি। প্রচার শুরুর প্রাক্কালে প্রতিশ্রুতি দিলেন, এবার জিতে এসে বালি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন। এদিকে বৈশালী প্রার্থী হতেই তাঁকে কটাক্ষ শুরু করেছে তৃমমূল শিবির। তৃণমূল যুব নেতা কৈলাশ মিশ্র বলেন, বহিরাগত কোনো প্রার্থী চাইছেন না বালির মানুষ।তাই ভূমিপুত্র তৃণমূল প্রার্থী রানা চট্টোপাধ্যায়কে মানুষ চাইছেন। বৈশালী বিধায়ক থাকাকালীন কোনো উন্নয়ন হয়নি বালি বিধানসভা কেন্দ্রে এমনই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূলে থেকে বৈশালী ডালমিয়া যত ভোটে জিতেছিলেন তার ডবল ভোটে এবার হারাবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেন কৈলাস মিশ্র। যদিও তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে বৈশালী ডালমিয়া বলেছেন, জেতার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।