"আমরা বাংলার কেয়ারটেকার। মানুষই ঠিক করবেন সরকার থাকবে কি না।" শুক্রবার দলের 'বঙ্গধ্বনি' যাত্রায় (Bangadhwani Yatra) অংশ নিয়ে এমনটাই বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শুক্রবারই শুরু হয় তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি। এই কর্মসূচি থেকেই রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে মানুষের কাছে রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেবে তৃণমূল। যে রিপোর্ট কার্ডে রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান। অর্থাৎ গত ১০ বছরে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ কী কী ভাবে উপকৃত হয়েছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। তৃণমূলে নেতা কর্মীরা এই রিপোর্ট কার্ডটি নিয়ে যাবেন মানুষের দরবারে। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন,"১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার কী কী পরিষেবা দিয়েছে তা রিপোর্ট কার্ডে বলা হচ্ছে। এই জন্যই আমরা বঙ্গধ্বনি যাত্রা করছি।" ফিরহাদ ছাড়াও এদিন শহর থেকে জেলায় বঙ্গধ্বনি যাত্রায় সামিল হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মত তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা।
জানা গেছে, আগামী ১০ দিন ধরে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ৩ থেকে ৫টি করে দল ধারাবাহিকভাবে এই বঙ্গধ্বনি যাত্রা করবে। মোট ৪ হাজার নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে সাড়ে ২৭ হাজার এলাকায় যাবেন। রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ্য কিলোমিটার জুড়ে ১ কোটি মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ স্থাপন করবেন ওই নেতারা। ১০ বছরের কাজের খতিয়ান সম্বলিত এই রিপোর্ট কার্ড মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন তাঁরা। একইসঙ্গে থাকবে ২০২১ সালের দিদিকে বলো পকেট ক্যালেন্ডার।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই রিপোর্ট কার্জ প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই রিপোর্ট কার্ডের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের সভা থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, "মোদীর রিপোর্ট কার্ড কোথায়, হিম্মত থাকলে মোদী ৭ বছরের রিপোর্ট কার্ড দেখান।" কোনও সরকারই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন অভিষেক। পাশাপাশি মানুষকে বিজেপির কাছে রিপোর্ট কার্ড চাওয়ার কথাও বলেন এই তৃণমূল সাংসদ।