Advertisement

"কি দরকার ছিল অভিষেকের কেন্দ্রে এসে খোঁচানোর", নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সৌগত

ডায়মন্ডহাবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এই হামলার পরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদের সৌগত রায়ের দাবি, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে খোঁচানোর কি দরকার ছিল।" এমন মন্তব্যে তাঁকে পাল্টা 'জ্ঞানপাপী' বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Dec 2020,
  • अपडेटेड 3:44 PM IST
  • নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সৌগত
  • মানুষের প্রতিবাদ হতে পারে দাবি সৌগতর
  • পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের

ডায়মন্ডহাবারে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এই হামলার পরেই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদের সৌগত রায়ের দাবি, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে খোঁচানোর কি দরকার ছিল।" এমন মন্তব্যে তাঁকে পাল্টা 'জ্ঞানপাপী' বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন, সভার আগেই কনভয়ে হামলা, অভিষেকের গড়ে দাঁড়িয়ে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক নাড্ডার

কী বললেন সৌগত

এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় এদিন সৌগতবাবু বলেন,  "কি দরকার ছিল সর্বভারতীয় সভাপতিকে নিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে এসে খোঁচানোর। এটার তো কোনও প্রয়োজনই ছিল না। ওনারা এসে একটা বড় মিটিং করতেন, হয়ে যেত। অনেক সময় স্বতঃর্ফূত ভাবে লোকে প্রতিবাদ করেন। ইট-পাথর ছোড়া না হলেই ভালো হত।"  এর পরে তিনি বলেন, "জেপি নাড্ডা তো রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি। ওনার যাত্রাপথে সম্পূর্ণভাবে পুলিশ নামিয়ে দেওয়া খুব মুশকিল। ফলে কিছু জায়গায় পুলিশ ছিল আর কিছু জায়গায় ছিল না। "

পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের

সৌগতবাবুর ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন,  "ওনার মতো কিছু জ্ঞানপাপী সব জেনেও চুপ করে থাকে, এটা মহাপাপ। সত্য স্বীকার করার ক্ষমতা নেই। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে ডায়মন্ডহারবারে জায়গায় জায়গায় জ্যাম করা হয়েছে। এটা কারোর জমিদারির জায়গা নাকি ? অন্য জায়গা থেকে কেউ এখানে আসতে পারবে না? গুণ্ডা  নিয়ে এই রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের সভাপতির গাড়িগুলির কনভয়ে ইট ছোঁড়া হয়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় কোনওক্রমে সকলে রেহাই পান। কোনও সভ্য জগতে এটা হতে পারে না। তৃণমূলের পতাকা নিয়ে হামলা করা হয়েছে।"

Advertisement

গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হন জেপি নাড্ডা নিজেই। তিনি বলেন, "বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। এখানকার সাংসদকে দেখা যায় না। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে।"

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement