Advertisement

গুরুংয়ের আর্বিভাব থেকে শুভেন্দুর দলবদল, একনজরে দেখুন ২০২০ সালের রাজনীতির নাটকীয় ৫টি মোড়

২০২০ সালে বাংলার রাজনীতির একের পর এক নাটকীয় মোড় দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন জল্পনা অবসান কাটিয়ে ঘাসফুল ছেড়ে এখন গেরুয়াা শিবিরের নেতা হয়েছ শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে তিনি বড় ফাটল ধরিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গে নয়।

বাংলার রাজনীতির বড় ৫টি মোড়। ছবি-পিটিআই
শুভম মুখোপাধ্যায়
  • কলকাতা,
  • 21 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:18 AM IST
  • জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে শুভেন্দু
  • পাহাড়ের রাজনীতিতে ফের আর্বিভাব গুরুংয়ের
  • রাজ্যে পা বিজেপির একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতার

২০২০ সালে বাংলার রাজনীতির একের পর এক নাটকীয় মোড় দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন জল্পনা অবসান কাটিয়ে ঘাসফুল ছেড়ে এখন গেরুয়াা শিবিরের নেতা হয়েছ শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে তিনি বড় ফাটল ধরিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলে। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গে নয়। উত্তরবঙ্গে রাজনীতিও ভোলবদলে আচমকা রাজ্যে আর্বিভাব হয়েছে বিমল গুরুংয়ের। তিনি আবার এনডিএ ছেড়ে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন। এক নজরে দেখুন এবছরের রাজনীতির নাটকীয় ৫টি মোড়।

শুভেন্দুর দলত্যাগ

এ বছর পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির সবথেকে বড় নাটকীয় মোড়। দীর্ঘদিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি বছরের মাঝমাঝি সময় থেকে শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে শুভেন্দুর। এক সময়ে তিনি রাজ্য সরকারের মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফাও দেন। পরে বিধায়ক ও তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দেন। তৃণমূলের তরফ থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব ফল বৃথা যায়। শেষে জল্পনাকেই সত্যি করে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি বড়সড় ভাঙণ ধরান তৃণমূল। শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের ১ সাংসদ ও ৭ বিধায়ক, ২ বাম বিধায়ক, ১ কংগ্রেস বিধায়ক। সেইসঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতাও শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন।

প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিরাট সাফল্য পায় গেরুয়া শিবির। তার পরেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসে তৃণমূল। কিন্তু চলতি বছরে সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেই বেনজির ক্ষোভ দেখা যায় তৃণমূলে। রাজ্যের শাসকদলের একাধিক বিধায়ক ও নেতা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকেন। অনেকে বিজেপিতে যোগও দেন। সংগঠন আরও শক্তিশালী করার জন্য হলেও, সেই পিকের বিরুদ্ধে ঘাসফুলের অন্দর ফাটল ক্রমশ বাড়তে থাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন, ১০ কোটি মানুষের কথা না ভেবে ভাইপোকে নিয়ে চিন্তা! মমতাকে ঠেস অমিতের

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলায় আগমণ।

শেষ লগ্নে ২০২০ সাল।  আর মাত্র কয়েকটা মাস তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই দিকে তাকিয়ে বিজেপির একঝাঁক নেতা দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলার। রাজ্যের বিভিন্ন অংশের জন্য বিশেষ ভাবে দায়িত্ব পেয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা। বাংলা জয়ের লক্ষ্যে নিজের ভরসার একের পর এক সেনাপতি এরাজ্যে পাঠাচ্ছেন নাড্ডা-শাহরা। এমনকি নিজেরাও এসেছেন প্রচারে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও এতো তৎপরতা গেরুয়া শিবিরের দেখা যায়নি। এবার কোমর বেধে নেমে পড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এমনকি একেবারে শীর্ষস্তরের নেতা অমিত শাহ থেকে জেপি নাড্ডা নিজেরাও নভেম্বর থেকে প্রতিমাসে এবার করে বাংলা সফরে আসছেন।

বিমল গুরুং

প্রায় সাড়ে তিন বছর আত্মগোপন থাকার পরে কার্যত নাটকীয় ভাবে উত্তরবঙ্গের রাজনীতি আর্বিভাব বিমল গুরুংয়ের। প্রাক্তন গোর্খা প্রধানকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় আচমকা দেখা যায়। এসেই তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়বাসীকে তিনি ঘাসফুলে ভোট দিতেও একাধিকবার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে বিনয় তামাং শিবিরের। পাহাড়ে ইতিমধ্যে অনেকগুলি গুরুং বিরোধী মিছিল করেছে তামাংরা। কার্যত এক লহমায় বদলে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক চিত্রটা। 

আরও পড়ুন, TMC সরকার মেয়াদ শেষ করবে, তাদের ভোটে হারাব, অমিতের হুঁশিয়ারি

মিমের আগমন

পড়শি রাজ্যে এবছরই করোনা আবহেই বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে ভালো ফল করেছে AIMIM। দলের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ঘোষণা করেছেন পরবর্তী লক্ষ্য বাংলা। জানা গিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্তত ১০০টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে মিম। বিহারে এই দল মহাজোটের ভোট কেটেছে। এবার বাংলাতেও তেমন কিছু হয় কিনা, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে জেডিইউও। অন্যদিকে ৯ বছর পরে গড়বেতায় ফিরলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। সুপ্রিম কোর্ট জামিনের শর্ত থেকে জেলায় ঢোকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরেই তিনি ফিরতে পারেন। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস বাম কর্মীদের মধ্যেও।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement