আমরা গ্রামগঞ্জের মানুষ, আমাদের যদি টোপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে। রক্ত দেব, কিন্তু মাথা নত করব না। দলিত ও চাষী বাড়িতে বিজেপির মধ্যাহ্নভোজনকে আক্রমণ দেবলীনা হেমব্রমের।
ঝড় উঠেছে, এই ঝড় রাখতে হবে। করোনা মানুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে। আর আমাদের সমাজে ২টি ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। তাদের মারতে গেলে আপনাদের-আমাদের তৈরি ভ্যাকসিন দরকার। বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ দেবলীনা হেমব্রমের।
তাপ বাড়ছে, তৃণমূল গলে যাচ্ছে, কেউ ভাবছে এরপর বিজেপি আসবে। কিন্তু এখন ফাল্গুন, এরপর চৈত্র। চৈত্র সেলে আরও অনেকে বিজেপিকে যাবে। তৃণমূল গলে যাক। বিজেপিকে বাষ্প করে দেব। চ্যালেঞ্জ সেলিমের।
চিটফান্ডের টাকা দিয়ে শান্তিনেকতই হোক বা যাই হোক, নিলাম করে টাকা ফেরত দেব, নাম না করে কটাক্ষ সেলিমের।
মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে শিখেছে কিভাবে টাকা নিয়ে স্কুল কলেজে চাকরি দিতে হয়। কেউ চিটফান্ডের টাকা ফেরত পায়নি। বিজেপি - তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ সেলিমের।
দিদিমণি জেনে নিন শুধু নীল সাদা রঙে উন্নতি হয় না, আমার বলছি না সব করেছি, কিছু করেছিলাম। মঞ্চে বললেন সেলিম।
সিঙ্ঘু সীমান্তে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁরা বলছেন আার অধিকার চাই, ভিক্ষা নয়। কৃষকের কথা ৩ মাস ধরে শোনেন না। যাঁরা লোহার ট্রেন ঠিক করে চালাতে পারে না, তাঁরা নাকি সোনার বাংলা গড়বে, বিজেপকে আক্রমণ সেলিমের।
মানুষ যখন অনাহারে ছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম মানুষকে খাদ্য দাও, এখন ভোটের আগে করছে, এটাই চালাকি। মা প্রকল্পে কটাক্ষ সেলিমের।
ওরা হিন্দু মুসলমান, আদিবাসী, মতুয়া সবার মধ্যে ভাগ করতে চেয়েছে। আমরা একে একে মানুষকে জুড়েছি, ব্রিগেডে বললেন সেলিম।
আমরা শিল্প গড়ার জন্য, ওরা শিল্প বেচে দেওয়ার জন্য। একদিকে দল বদলের লড়াই, এখানে দিন বদলের লড়াই। বললেন সেলিম।
দিদি মোদীর খেলা এক দশক দেখেছি , এর ওদের মাঠ থেকে নকআউট করতে হবে। ডাক সেলিমের।
বসন্ত এসে গেছে, শিমূল পলাশ, সব লাল ফুল ফুটবে। বললেন মহম্মদ সেলিম
পহেলে লড়ে থে গোরো সে, আব লড়েঙ্গে চোরো সে, নয়া স্লোগান তুললেন ভূপেশ বাঘেল।
এরা দেশে ঘৃণার চাষ করছে। আমরা গান্ধীজির নীতিতে চলা। মোদী বলেছেন দেশ বিক্রি হতে দেব না। তাহালে রেল নিয়ে কী হচ্ছে? রেল কি আপনার দাদু বানিয়েছিলেন? আক্রমণ বাঘেলের।
যে সময় নেতাজি আজাদ হিন্দ বাহিনী তৈরি করছিলেন সেই সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সাভারকার ইংরেজেদের ফৌজে সেনা ভর্তি করছিলেন, আক্রমণ ভূপেশ বাঘেলের।
মোদী বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রী নই, প্রধান সেবক। জবাব দিন আপনি কার সেবক? তৃণমূল সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। তৃণমূল-বিজেপি হটাতে হবে। সংযুক্ত মোর্চাকে জেতাতে হবে। বললেন ডি রাজা।
গান্ধীজি বলেছিলেন সবাইকে সুবুদ্ধি দিন ভগাবন। তবে সবার নয়, ৩ জনের সুবুদ্ধি চাই। তাঁরা হলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভগবত, কটাক্ষ ডি রাজার।
'হ' মানে হিন্দু, 'ম' মানে মুসলমান, যখন 'হাম' হয় তখনই ভারত তৈরি হয়। আমাদের লুঠপাটের সরকার চাই না, জাতাপাতের সরকার চাই না। বললেন ইয়েচুরি।
করোনার নামে ব্যক্তিগত তহবিল খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে সারদা নারদা। এরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, বললেন সীতারাম ইয়েচুরি।
আড়াইশোর ওপর কৃষক মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাতেও মোদী সরকারের কিচ্ছু যায় আসেনি। তবুও কৃষকরা পিছু হঠেনি। বললেন সীতারাম ইয়েচুরি।
আমরা ভারতীয়, আমরা গর্বিত, ভিক্ষা নয় অধিকার চাই, সব চেয়ে আক্ষেপ করছে মমতা, বললেন আব্বাস সিদ্দিকী
ভাগিদারি করেতে এসেছি, তোষণ করতে নয়, কংগ্রেসকে সরাসরি বার্তা।
দিদিমণির হাত থেকে ক্ষমতা চলে গেছে, ক্ষমতা কমিশনের হাতে চলে গেছে। একমাস পড় আমরা বাংলা দখল করব। বেকারদের কাজ দেব। প্রত্যেকের পেটে ভাত দেব। বললেন আব্বাস সিদ্দিকী।
ব্রিগেড সভামঞ্চে আব্বাস সিদ্দিকী। আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন বামপন্থীরা, আগামী নির্বাচনে রক্ত দিনে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করব। মমতাকে বাংলা থেকে উৎখাত করে ছাড়ব। বাংলার স্বাধীনতা কেড়েছে মমত। বাংলা থেকে জাবাব দিয়ে দেখিয়ে দেব। বললেন আব্বাস সিদ্দিকী।
চাকরি চাইতে গিয়েছিল, মইদুল ইসলামকে পিটিয়ে মেরে দিল পুলিশ। বেকার যুবকদের মৃত্যু নিয়ে রসিকতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, মানুষ ভুলবে না, বললেন অধীর।
তৃণমূল নেত্রী মমতা, দেখে যান মোর্চার ক্ষমতা। গণতান্ত্রিক পথে এসে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। মোদী আর দিদির রাজনৈতিক ডিএনএ এক। মন্তব্য অধীরের
এত বড় সভায় এই প্রথণ বক্তব্য রাখছি। এই সভা প্রমাণ করছে তৃণমূল বিজেপির উর্ধ্বে উঠে সংযুক্ত মোর্চা তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছে। আগামিদিন শুধু সংযুক্ত মোর্চা থাকবে। মন্তব্য অধীর চৌধুরীর।
মানুষ মরছেন, উনি ময়ূরকে দানা দিচ্ছেন, নাম না করে নরেন্দ্র মোদীকে মন্তব্য মনোজ ভট্টাচার্যের।
টেলিভশনে খেউড় চলছে, সাংবাদিকদের দোষ দিচ্ছি না। টেলিভিশনগুলি আদানি আম্বানিদের, মন্তব্য মনোজ ভট্টচার্যের।
মমতা বলেছিলেন বিরোধী শূন্য বিধানসভা, আর মোদী এসে বললেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত, কটাক্ষ মনোজ ভট্টাচার্যের।
খেলা বন্ধ হয়ে যাবে, মানুষের জয় হবে, লড়াই করতে হবে, বললেন আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য।
উনি দিদিকে বলো, তারপর সমাধান করলেন। এমন সমাধান করলেন পুরো দলটাই বিজেপি হয়ে গেল। নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ সূর্যকান্তর।
বড় শিল্প আনতে হবে। মানুষের সহমতের ভিত্তিতে আনতে হবে, বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
আমরা কাজ চাই, ১০০ দিনের কাজ বাড়াতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০০ দিন না করলেও রাজ্য সরকারকে ১৫০ দিন করতে। খাদ্যের আধিকার চাই। শিক্ষার অধিকার, সাম্যের অধিকার। বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভামঞ্চে উপস্থিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী।
পশ্চিমবঙ্গে মানুষ আক্রান্ত। আর ওদের মধ্যে তরজা চলছে। সেই গানের পার্টি একটাই, দুপক্ষের হয়েই গাইছে, নাম না করে বিজেপি তৃণমূলকে কটাক্ষ সূর্যকান্ত মিশ্রর।
সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ফৌজ গড়ে তুলতে হবে। সেই ফৌজ গ্রামে গ্রামে লড়াই করবে বিজেপির বিরুদ্ধে। এটাই ব্রিগেডের আহ্বান, বললেন নরেন চট্টোপাধ্যায়
দিল্লিত একটি দল ভারতীয় ঝঞ্ঝাটিয়া পার্টি বিজেপি হিন্দু মুসলমান করে দেশকে বিভাজনের চেষ্টা করছে। আর আমাদের রাজ্যের শাসক দল নিশ্চুপ থাকে। রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছ, বললেন নরেন চট্টোপাধ্যায়।
লড়াই শুরু হয়েছে, চলছে চলবে, বিকল্প যে কোনও মূল্যে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করতে হবে। সংযুক্ত মোর্চা তৈরি হয়েছে। আগামি ভোটে তৃণমূলকে উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলুন। বিজেপিকে বলুন এখানে হিন্দু-মুসলমান চলে না। আমরা রক্ত দিয়ে রুখবো। নির্বাচন একটা লড়াই। এই শপথ নিয়ে আমরা এখান থেকে যাব। বললেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
'রাজ্যে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ হচ্ছে, দুর্নীতির আখড়া তৈরি হয়েছে। বলেন বিরোধীশূন্য বিধানসভা চাই', নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদের বিরুদ্ধে কথা বললে জেলে ভরে দেয়, খুন করে দেয়। ফ্যাসিবাদী সরকার চলছে, বিজেপিকে বিঁধে বললেন সিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজকের পর থেকে একথা বলা য়ায়, বামপন্থী কংগ্রেস ও আইএসএফ যে পরিস্থিতি তৈরি করবে তাতে একদিকে বিজেপি তৃণমূল, অন্যদিকে আমরা সবাই, বললেন বিমান বসু।
আজকের সমাবেশ অভূতপূর্ব। এই সমাবেশে বামপন্থী, কংগ্রেস, আইএসএস ও বাম সহযোগী দল রয়েছে। এমন সমাবেশ অতীতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড দেখেনি, বললেন বিমান বসু।
ব্রিগেড সভা মঞ্চে উপস্থিত বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আসছেন অন্যান্য নেতৃত্বও।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়েতে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে রাস্তায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা ভিড় করছেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।
'এই যে এত মানুষ এসেছেন, তাঁদের ভোট যেন ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়', বললেন শ্রীলেখা মিত্র।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুদ্ধবাবুর বলেন, 'ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না। মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন, আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।'
এইবছর বাম কংগ্রেসের ব্রিগেড ঘিরে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জনপ্রিয় গান 'টুম্পা'র প্যারোডি। এবার সেই গান মুখে নিয়েই ব্রিগেডমুখী বাম সমর্থকরেরা।
দলে দলে ব্রিগেডে যোগ দিচ্ছেন বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। রেল ও সড়ক পথের পাশাপাশি জলপথেও ব্রিগেডমুখী জনতা।
ব্রিগেড উপলক্ষে শনিবার থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে শহরে। বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কর্মী সমর্থকেরা।
আজ বাম কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড। থাকছে আইএসএফ সহ অন্যান্য দল। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে সভা মঞ্চ।