Advertisement

মমতা বলছেন 'টেল কার', নাড্ডার গাড়িতেই হামলা, দাবি বিজেপির

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টচার্য। তিনি অভিযোগ করলেন, পূর্ব পরিকল্পনা কর এই হামলা করা হয়েছিল। পুলিশকে আগে থেকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া হচ্ছিল ওই এলাকায়।

কনভয়ে হামলার সময়ে। ছবি নিজস্ব
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Dec 2020,
  • अपडेटेड 5:23 PM IST
  • তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি নেতা শমীকের
  • সেইসঙ্গে পুলিশের সমালোচনা
  • পরিকল্পনা হামলা বলে অভিযোগ তাঁর

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টচার্য। তিনি অভিযোগ করলেন, পূর্ব পরিকল্পনা কর এই হামলা করা হয়েছিল। পুলিশকে আগে থেকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া হচ্ছিল ওই এলাকায়।

কী বললেন শমীক

এদিন শমীক বলেন, "জেপি নাড্ডার সফরের আগে পুলিশের সব বড় কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সকালেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল, ওখানে জমায়েত হচ্ছে, যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরিকল্পনা করে আক্রমণ চালানো হয়েছে। সবাই সেটা দেখেছেন। বহু নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ৫০ জন মহিলা ছিলেন একটি মিনিবাসে। সেই বাসেও হামলা চালানো হয়। ৩০টার বেশি বাইকের কোনও হদিশ নেই। পরিকল্পনা করে জমায়েত করা হয়েছিল। উত্তেজিত ভাষণ দেওয়া হচ্ছিল। অশালীন ভাষায় স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। গোটা রাজ্যে একই পন্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু মানুষকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপির পিছনে।

আরও পড়ুন, কনভয়ে হামলায় হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়েছে কৈলাসের, চোট মুকুলেরও

শমীকের অভিযোগ, বিভাজনের রাজনীতি কোন স্তরে গেছে যে, একজন সর্বভারতীয় নেতার উপর এভাবে হামলা হয়। পুলিশ কোনওরকম তদন্ত ছাড়া বলে দিল, জেপি নাড্ডার কনভয় অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে গেছে। পুলিশের সৎ সাহস থাকে, তাহলে জেপি নাড্ডার গাড়িটি সর্বসমক্ষে নিয়ে আসুক। তাহলেই পরিস্কার হবে। ওই গাড়িতে এখনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উস্তি থানায় একটা সাধারণ এফআইআর হয়েছে।" প্রসঙ্গত গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "৫০টা গাড়ির কনভয় যায়, তারমধ্যে ৩০টা প্রেসের, আবার ৪০টা বাইক। লেজুড় কার, টেল কারে কাচের একটা ইট এসে পড়ছে।"

তৃণমূলকে নিশানা শমীকের

সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেন, যে সব নেতারা উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে গলায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন। তারা এখন চুপ কেন ? তৃণমূল নেতা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দিচ্ছিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করতে যাব। আমরা এখনও পর্যন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিইনি। এর আগেও অনেক ঘটনায় পুলিশ একটু পদক্ষেপ নেয়নি।  এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। আগের দিন থেকে বিভিন্ন লোকেদের নিয়ে এসে বিভিন্ন মোড়ে রাখা হয়েছিল। এটা নিয়ে ওরা বার্তা দিতে চাইছে বিজেপির সভা আমরা আটকে দিয়েছি। আমরা এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করব। যারা রোহিঙ্গাদের বস্তি বানিয়ে এরাজ্যে রাজনীতি করছেন, তাদের মুখ বহিরাগত শব্দটা শোভা পায় না।"

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement